এটা ঠিক কথা, কেকেআর জার্সিতে শেষ দুটি বছর বলার মত পারফর্ম করতে পারেননি কুলদীপ। প্রচুর মার খেয়েছিলেন। মাঝের সময়টা অস্ত্রোপচার। তারপর ফিট হয়ে ফিরে আসার লড়াই সহজ ছিল না। কিন্তু হাল ছাড়েননি। ছোটবেলার কোচ প্রতিনিয়ত অনুশীলন করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কুলদীপ অবশ্য বলছেন কেকেআরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ছিল না। অভিমান থাকতে পারে। কিন্তু কেকেআর তার পুরনো দল।
advertisement
Kuldeep Yadav says wicket of Andre Russell most satisfying তিনি বরং খুশি নিজের বর্তমান ফর্ম নিয়ে। পাশাপাশি যুজবেন্দ্র চাহাল যেভাবে পারফর্ম করে চলেছেন, তাতে আরো খুশি কুলদীপ যাদব। মন থেকে চাইছেন এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন চাহাল। পার্পেল ক্যাপ উঠুক তার মাথায়। কুলচা জুটি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরবে এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কুলদীপ যাদব অবশ্য এই মুহূর্তে শুধুই আইপিএল নিয়ে ভাবতে চান।
ভারতের জার্সিতে সুযোগ পেলে জীবন বাজি রাখবেন সেই কথা আগেই দিয়ে রেখেছেন চায়নাম্যান বোলার। কুলদীপ জানিয়েছেন যখন তার খারাপ সময় গিয়েছিল প্রতিনিয়ত পাশে ছিলেন চাহাল। তাকে সাহস দিয়েছেন, আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন। ফিরে আসার লড়াই জারি রাখার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
ছোট ছোট পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেগুলো মেনে চলে সফল হয়েছেন কুলদীপ। তাই বড় দাদা হিসেবে দেখেন চাহালকে। আপাতত ব্যক্তিগত লক্ষ্য দিল্লির ম্যাচ খেলা এবং যত বেশি সম্ভব উইকেট নেওয়া। কেকেআরের বিরুদ্ধে তাকে সবচেয়ে আনন্দ দিয়েছে আন্দ্রে রাসেলের উইকেট। যেভাবে তিনি রাসেলকে বোকা বানিয়েছেন, সেটা খুব মজার বলছেন কুলদীপ।