তারা দু’বারের চ্যাম্পিয়ন (২০১২ ও ২০১৪)। সেখানে আজ পর্যন্ত খেতাবের স্বাদ পায়নি পঞ্জাব কিংস। তবে আইপিএল এমন এক মঞ্চ, যেখানে শুধু অতীত সাফল্যকে আঁকড়ে ধরে ম্যাচ জেতা যায় না। সেটা ভালোই জানেন নাইটরা। না হলে তৃতীয় খেতাবের জন্য তাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত না। শ্রেয়স না থাকায় অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাবেন নীতীশ রানা।
advertisement
নাইট রাইডার্সের ব্যাটিংয়ে বেশ কিছু চমক থাকতে পারে। কারা ওপেন করবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছে নিলামের পর থেকেই। ছবিটা হয়তো স্পষ্ট হত, ম্যাচের আগের দিন প্র্যাকটিস হলে। কিন্তু তাতে বাধ সাধল বৃষ্টি। তবে কোচ চন্দ্রকান্তের কথা শুনে মনে হয়েছে, জগদীশন ও রহমতুল্লাহ গুরবাজই হয়তো ইনিংসের সূচনা করবেন। তিনে নামতে পারেন বেঙ্কটেশ আয়ার।
আন্দ্রে রাসেলের ফর্মের উপরও অনেকটাই নির্ভর করবে নাইটদের সাফল্য। গতবার চোট সমস্যা ভুগিয়েছিল তাঁকে। এবার শারীরিকভাবে তৈরি হয়েই হাজির তিনি। রাসেল নাইট রাইডার্সের তুরুপের তাস হয়ে উঠবেন বলে আশা সমর্থকদের। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক নীতীশ রানার সঙ্গে রিঙ্কু সিং ও মনদীপ সিংয়ের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
পঞ্জাবের ব্যাটিং অর্ডার হতে পারে এরকম— শিখর ধাওয়ান, প্রভসিমরন সিং, জীতেশ শর্মা, সিকন্দর রাজা, শাহরুখ খান। অলরাউন্ডার স্যাম কারানের সঙ্গে ঋষি ধাওয়ানের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাবাডার অভাব ঢাকার দায়িত্ব অর্শদীপ সিংয়ের। কেকেআর ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কাকে ব্যবহার করে সেদিকে নজর থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। খাতায় কলমে খুব একটা তারকা খচিত দল নয় নাইট রাইডার্স। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে এবার তারা কেমন করে তার কিছুটা ইঙ্গিত আজ পাওয়া যাবে।