টস হার: কেকেআরের হারের অন্যতম কারণ টস হার। দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার পিচে কিছুটা আদ্রতা ছিল। যার সুবিধা পেয়েছে আরসিবি পেসাররা। আর সন্ধ্যার দিকে পিচে স্পিনাররা কিছুটা সাহায্য পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির সমস্যার কারণে কেকেআর স্পিনাররা কোনও সাহায্য পায়নি। ফলে টস জয় আরসিবিকে বড় অ্যাডভান্টেজ দিয়েছে।
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা: মিডল অর্ডারের ব্যর্থকা কেকেআরের হারের অন্যতম কারণ। ১০৭ রানে ১ উইকেট থেকে ১৫০ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায় কেকেআরের। বড় রান পাননি ২৩.৭৫ কোটির প্লেয়ার ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ৬ করে আউট হন তিনি। রিঙ্কু সিংও মাত্র ১২ রান করে আউট হন। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি আন্দ্রে রাসেলও। মাত্র ৪ রান করে আউট হন তিনি।
advertisement
শেষ ১০ ওভারে ৬৭ রান: একটা সময় ১০ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোর ছিল ১০ ওভারে ১০৭ রান। কিন্তু তারপর লাগাতার উইকেট পড়ার কেকেআরের রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। শেষের দিকে যেখানে ইনিংসে দ্রুত রান করার কথা ছিল, সেখানে রান করতে পারেনি নাইটরা। শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৬৭ রান করে কেকেআর। যেখানে ২০০ পার মনে করা হচ্ছিল কেকেআরের স্কোর, সেখানে নাইটরা থামে ১৭৪ রানে।
বোলারদের ব্যর্থতা: ব্যাটিং অর্ডারে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার পর বোলাররাও ব্যর্থ হয় ১৭৪ রান ডিফেন্ড করতে। একমাত্র সুনীল নারিন ৪ ওভারে ২৭ রান দেন। বাকি কেকেআর বোলাররা বৈভব অরোরা, স্পেনসর জনসন, বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা সকলেই ওভার পিছু ১০ থেকে ১৪ রান করে দিয়েছেন। ফলে ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ পায়নি কেকেআর।
আরও পড়ুনঃ KKR vs RCB: কেকেআরের কাটা ঘায়ে ‘সল্টের’ ছিটা, সঙ্গে ‘স্পাইসি’ কোহলি, নাইটদের হেলায় উড়িয়ে দিল আরসিবি
রাহানের অধিনায়কত্ব: এদিন অজিঙ্কে রাহানের ব্যাটিং যতটা প্রশংসীত হয়েছে, ঠিক ততটাই প্রশ্ন উঠেছে রাহানের অধিনায়কত্ব নিয়ে। কারণ নারিন ও হর্ষিত রানা দলের প্রধান অস্ত্র হওয়া সত্ত্বেও তাদের অনেক দেরিয়ে নিয়ে আসান রাহানে। ততক্ষণে ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। সেট হয়ে গিয়েছেল সল্ট ও কোহলি। আরও বেশি আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব রাহানের কাছে আশা করেছিলেন সকলে।