চেন্নাই: চেন্নাই এর ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতা সবসময় কঠিন চ্যালেঞ্জ যে কোনও দলের পক্ষে। যে ছন্দে ছিল হলুদ ব্রিগেড তাতে কেকেআর চেন্নাইতে গিয়ে তাদের হারিয়ে আসবে এমন আশা অতি বড় সমর্থক করেননি। গুরবাজ (১), ভেঙ্কটেশ (৯), জেসন রয় (১২) টপ অর্ডারে তিনজন ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক রানা এবং রিঙ্কু ধৈর্য ধরে উইকেটে পড়ে থাকলেন। টার্গেট বিশাল ছিল না। কিন্তু রান তোলার জলের মতো সহজ ছিল না।
advertisement
দুই বাহাতি মিলে অল্প অল্প করে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন। মাঝে মাঝে লুজ বল পেলে বাউন্ডারি মেরে দিলেন। আবার একটা ৫০ করলেন রিঙ্কু। বুঝিয়ে দিলেন এবারে কেকেআরের সেরা আবিষ্কার তিনি। পরিস্থিতিতে রবিবাসরীয় চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে অ্যাসিড টেস্টে নামতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। মুখোমুখি সাক্ষাতে ১৮ বার জিতেছে সিএসকে। যার অর্ধেক, অর্থাৎ মাত্র ৯ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে কেকেআর।
দুই দলের মধ্যে শেষ ম্যাচটি হয়েছিল গত ২৩ এপ্রিল ইডেনে। সেই লড়াইয়েও ৪৯ রানে জিতেছিল হলুদ জার্সিধারীরা। সেদিন নন্দনকাননের গ্যালারি পরিণত হয়েছিল সর্ষে খেতে। মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসার অর্ঘ্য সাজিয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ঘরের মাঠেই বহিরাগত দেখিয়েছিল নাইটদের। আর রবিবার মেরিনা বিচের ধারে নীতীশ রানার দল তো সত্যিই অ্যাওয়ে ম্যাচে নেমেছিল।
তাই পরীক্ষাটা বেশি কঠিন ছিল শাহরুখ খানের দলের কাছে। টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ঋতুরাজ (১৭) বড় রান করতে না পারলেও রাহানে এবং কনওয়ে পার্টনারশিপ তৈরি করলেন। রাহানে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন। প্রথম দুটো উইকেট নিলেন বরুণ চক্রবর্তী। কনওয়ে (৩০) শরদুল ঠাকুরের বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হলেন রিঙ্কু সিং এর হাতে।
রাইডু (৪) বোল্ড হলেন সুনীল নারিনের বলে। একই ওভারে মইন আলিকে (১) বোল্ড করলেন নারিন। আজ দীর্ঘদিন বাদে ক্যারিবিয়ান স্পিনারকে চেনা মেজাজে পাওয়া গেল। আজকের আগে পর্যন্ত এবার নয় ম্যাচে একটি উইকেট পেয়েছিলেন সুনীল। এদিন চেন্নাই ব্যাটসম্যানরা সহজে বাউন্ডারি মারতে পারছিলেন না।
সুয়শ শর্মা আজকে উইকেট না পেলেও যথেষ্ট ভাল বল করেছেন। তবে শিবম দুবে এবং রবীন্দ্র জাদেজা শেষ দিকে লড়াই করে চেন্নাইকে একটা ভদ্রস্থ করবো রে পৌঁছে দিয়েছেন।৫৪ করে ফিরে গেলেন রিঙ্কু। রান আউট হলেন। তখন কলকাতার জয় পেতে প্রয়োজন ১৪ রান।