আইপিএলে তিনি কৃপণতম বোলারদের মধ্যে একজন। তবে শুধু বল হাতে নয় ব্যাট হাতেও কেকেআরের হয়ে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেছেন সুনীল নারিন। ১৪০ ম্যাচে ১৬২ এর উপর স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৯৭৬ রান । ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল জয়ের পিছনে বিরাট অবদান ছিল নারিনের। আইপিএলে তার প্রথম বছরেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়ার হন তিনি।
advertisement
এরপর ২০১৮ সালেও তিনি টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, ২০২০ সাল থেকে কেকেআরে রয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। এর ঠিক এক বছর আগেই কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে বরুণের অভিষেক হয়। কিন্তু পঞ্জাবের হয়ে আহামরি তেমন পারফরম্যান্স না হওয়ায় প্রথম মরসুমের পরই তাকে ছেড়ে দেয় পঞ্জাব।
কেকেআরের জার্সি পরেই তিনি সকলের নজরে আসেন। গত মরসুমে কেকেআরের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন বরুণ। নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। তার আগের মরসুমে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। আইপিএলে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টি ম্যাচ খেলেছেন বরুণ, ওভারপিছু ৭ রানের সামান্য বেশি দিয়ে নিয়েছেন ৪০ টি উইকেট। গত বছর কেকেআরকে আইপিএলের ফাইনালে তোলার পিছনে এই দুই স্পিনারের বিরাট অবদান ছিল।
আইপিএলের চলতি মরসুমেও দলের সাফল্যের জন্য এদের দুজনের দিকেই তাকিয়ে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। এই জন্যই এই দুই নির্ভরযোগ্য বোলারকে নিলামে নামায়নি কেকেআর। চলতি মরসুমে ভাল শুরু করলেও পরে হোঁচট খেতে হয়েছে কলকাতাকে। এখনো পর্যন্ত ৬ টি ম্যাচের মধ্যে ৩ টি জিতেছে কেকেআর। সুনীল নারিন এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ প্রদর্শন করতে পারলেও, ছন্দে নেই বরুণ চক্রবর্তী।
শেষ দুই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ৪০ এর উপর রান দিয়েছেন বরুন। শেষ ম্যাচে তার স্পেল সম্পূর্ণই করতে পারেননি বরুণ। এখনো এবারের আইপিএলে মাত্র ২ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার পারফরম্যান্স নিয়ে নিজেও খুব একটা খুশি নন বরুণ।
নেটে তার বোলিংয়ের ধার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বরুণ। ব্যাটারদের বোকা বানাতে তার বোলিংয়ে আরো মিশ্রণ নিয়ে আসতে চাইছেন তিনি। সোমবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে বরুণ এবং সুনীল নারিনের ঘূর্ণির দিকেই তাকিয়ে আছে কেকেআর।