দেশের থেকে আইপিএল বড় হতে পারে না। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার গর্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে হতে পারে না। কিন্তু দুঃখের হলেও, সেটাই হচ্ছে। কপিল মনে করেন ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বসে ভাবনা চিন্তা করতে হবে আইপিএল এবং বিশ্বকাপ পাশাপাশি থাকলে কোন পরিকল্পনায় এগোনো উচিত। তা ক্রিকেট বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা বলে দুটো টুর্নামেন্টের মধ্যে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত অর্থের হাতছানিতে সেটা করার সাহস হচ্ছে না বোর্ডের।
advertisement
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিয়েছে হট ফেবারিট ভারত। আজ সোমবার তারা নামিবিয়ার বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলেই বিমানে উঠবে। অন্যের ঘাড়ে ভর করে সেমিফাইনালে যাওয়ার একটা সুযোগ ছিল কোহলিদের। তবে গতকাল নিউজিল্যান্ডের কাছে আফগানিস্তান হেরে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। বিশ্বকাপে ভারতের মতো দুর্দান্ত দলের এমন করুণ পরিণতির পেছনে আইপিএলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়াকে দায়ী করেছেন ভারতের কিংবদন্তি অল-রাউন্ডার কপিল দেব।
তার মতে দেশকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে, 'যখন ক্রিকেটাররা দেশের পরিবর্তে আইপিএল খেলাকে বেশি প্রাধান্য দেয়, আমাদের আর বলার কী থাকতে পারে! দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় ক্রিকেটারদের গর্বের বিষয় হওয়া উচিত। তবে আমি তদের আর্থিক বিষয়ে অবহিত নই, তাই এই বিষয়ে বেশি কিছু বলার নেই। তবে আমার মনে হয় দেশকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তারপর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। কখনই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করব না। কিন্তু বোর্ডকে বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে হবে। এই টুর্নামেন্টে যেসব ভুল করেছি, সেই ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।'
পাশাপাশি প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকার প্রশ্ন তুলেছেন কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার কেন আইপিএল টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়ার জন্য নিজেদের নাম সরিয়ে নিলেন না? জৈব সুরক্ষা বলয় থাকতে-থাকতে একঘেয়ে হয়ে ওঠার তত্ত্ব ফেলে দেওয়ার নয়। টানা থাকতে থাকতে ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে।
কিন্তু সানি মনে করেন বিশ্বকাপ জয়ের জন্য যতটা মরিয়া হওয়া দরকার ছিল ভারতের, ততটা খিদে দেখা যায়নি টিম ইন্ডিয়ার ভেতর। এটা সমগ্র ব্যর্থতা। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য মনে করিয়ে দিয়েছেন গাভাসকার। তবে রাহুল দ্রাবিড়কে সঠিক সময় দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বলেছেন তিনি।