আইপিএল শুরুর আগে নিলামে তাঁকে ধরে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা বড় ছিল, সেটা প্রতি ম্যাচেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন জস বাটলার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাঁর দুরন্ত শতরানের জেরেই ফাইনালে উঠে গেল রাজস্থান। এবারের আইপিএলে চারটি শতরান করে ফেললেন বাটলার। ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলীকে। রানের বিচারেও যেখানে রয়েছেন, সেখানে অন্য কারওর তাঁকে ছোঁয়া কার্যত অসম্ভব।
advertisement
ফলে কমলা টুপিও প্রায় নিশ্চিত তাঁর। ফাইনালে উঠে বাটলারের মুখেও প্রয়াত শেন ওয়ার্নের কথা, যাঁর অধীনে প্রথম বার ফাইনালে উঠেছিল রাজস্থান। বাটলার বললেন, রাজস্থানে শেন ওয়ার্নের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। প্রথম মরসুমেই আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছে। ফাইনালে ওকে প্রচণ্ড মিস করব। কিন্তু এটাও জানি, ওয়ার্ন নিশ্চয়ই উপর থেকে আমাদের দেখছে।
নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে বাটলার জানালেন, মরসুমটা যে এ রকম যেতে পারে, সেটা ভাবতেই পারেননি। ম্যাচের পর বললেন, এই মরসুমে খুবই কম প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। তবে হ্যাঁ, শক্তি ছিল অনেক। আজ ফাইনালে উঠতে পেরে মনে হচ্ছে, ভালই খেলেছি। এই মরসুমটা দুটো অর্ধে ভাগ করতে চাই।
একটা ভাল গিয়েছে। এখন খারাপ। আমার কাছের মানুষ যারা, সেই কুমার সঙ্গকারা এবং ট্রেভর পেনির সঙ্গে খোলামনে অনেক কথা বলতে পেরেছি। কেন কথা বলতে হল এই দু’জনের সঙ্গে? বাটলারের ব্যাখ্যা, মরসুমে মাঝপথে এসে আচমকাই চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।
মনঃসংযোগ বিক্ষিপ্ত হচ্ছিল। সপ্তাহখানেক আগে এই দু’জনের সঙ্গে কথা বলি। সত্যি বলতে, কলকাতায় যাওয়ার আগে অনেক খোলামনে গিয়েছিলাম। ওই দিনের ম্যাচে যে আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাই, সেটাই আমাদের সাহায্য করেছে।