২০১১ সালের এপ্রিলের সেই রাত আজও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে অমলিন। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে সচিন আউট হওয়ার পর পুরো দায়িত্ব কাঁধে নেন গৌতম গম্ভীর। মাঠে নিজের সর্বস্বটা উজার করে দিয়ে ৯৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। আর সেই ইনিংসেই ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের ভিত রচনা করেছিল। তাঁর কাঁদা মাখা নীল জার্সি হয়ে ওঠে ত্যাগ, পরিশ্রম ও দেশপ্রেমের প্রতীক। গম্ভীর নিজেও পরে বলেছিলেন— “সেঞ্চুরি মিস করার কষ্ট আছে, কিন্তু দেশের জয়ই আসল পুরস্কার।”
advertisement
১৪ বছর পর সেই মুম্বইয়েরই মাঠে আরেকটি ইতিহাস গড়লেন জেমাইমা রড্রিগেস। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৩৯ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা ছিল দুর্বল। কিন্তু জেমাইমা আর হরমনপ্রীত কউরের সঙ্গে ১৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। ১৩৪ বলে অপরাজিত ১২৭ রান— তাঁর ইনিংসেই ভারত মহিলাদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রান চেজ সম্পূর্ণ করে ফাইনালে পৌঁছায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যেই জেমাইমার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। কেউ তাঁকে বলেছেন “ক্রিকেট কুইন”, কেউ বা “ভারতের শেরনি”। অনেকেই গম্ভীরের কাদামাখা জার্সির সঙ্গে জেমাইমার জার্সিকে পাশাপাশি রেখে লিখেছেন— “জার্সি আলাদা, কিন্তু জেদ এক।” দু’জনেই প্রবল চাপের মধ্যে থেকে দলকে জিতিয়েছেন, দু’জনের মধ্যেই দেখা গেছে দেশের জন্য অক্লান্ত লড়াইয়ের স্পিরিট।
গম্ভীরের ২০১১ সালের ইনিংস ভারতকে এনে দিয়েছিল বিশ্বকাপ, আর জেমাইমার ২০২৫ সালের শতরান ভারতকে নিয়ে গেল ফাইনালে। এই মিল দেখে অনেকেই মনে করছেন এবার কাপ আসছে ভারতের ঘরে। আজ গোটা দেশ গর্বে উচ্ছ্বসিত— ভারতের মেয়েরা শুধু জয়ই আনেনি, ফিরিয়ে এনেছে সেই পুরনো আবেগ, সেই বিশ্বাস— “ভারত আবার পারবে।”

