এফ সি গোয়া -১
#গোয়া: করোনার প্রকোপ কাটিয়ে অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় এফ সি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল এস সি ইস্টবেঙ্গল। নতুন ম্যানেজার মারিও রিভেরার কোচিংয়ে ইস্টবেঙ্গল কেমন করে, দেখার ছিল সেটাই। ৪-৩-৩ ফর্মেশন এ দল নামিয়েছিলেন কোচ। ড্যারেন সিডল এবং ফ্রানজ পর্চ দুই বিদেশি ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রথম দলে। দীর্ঘদিন বাদে চোট কাটিয়ে ফিরেছিলেন পর্চ। মারিও কথা দিয়েছিলেন আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলাবেন।
advertisement
শুরু থেকে গোয়ার দাপট থাকলেও ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এদুর ভুল পাস ধরে আনোয়ারকে শরীর দিয়ে আড়াল করে বা পায়ের শটে গোল করেন মহেশ সিং। ৩৭ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনে গোয়া। অর্টিজের পাস থেকে দুরন্ত গোল করেন স্প্যানিশ নগুয়েরা। কিন্তু আবার ৪২ মিনিটের মাথায় আনোয়ারের ভুলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন - ICC Men's T20I Team : লজ্জা! আইসিসির সেরা এগারোয় নেই কোনও ভারতীয়, নেতা পাকিস্তানের বাবর
মহেশ শট করলে প্রথমে বোঝা যায়নি গোল হয়েছিল কিনা। কিন্তু পরে দেখা যায় বল লাইন অতিক্রম করেছিল। সুতরাং গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গোয়া কিন্তু আক্রমণ চালাতে থাকে। এডুর দুরন্ত ফ্রি কিক বাঁচিয়ে দেন অরিন্দম। গোয়া মরিয়া হয়ে ওঠে গোল শোধ করার জন্য। কিন্তু এদিন ইস্টবেঙ্গল মাঠমাঠ ফাঁকা জায়গা দিচ্ছিল না।
আদিল খান, অঙ্কিত, ফ্রানজোরা সঠিক সময় জায়গা বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। গোলের মুখ দেখতে দিচ্ছিলেন না গোয়াকে। ৬৮ মিনিটে আক্রমনাত্মক হলেন মারিও। হাওকিপকে তুলে নিয়ে এলেন বলবন্তকে। গোয়া প্রচুর পাস খেললেও কিছুতেই ইস্টবেঙ্গলের গোল খুঁজে পাচ্ছিল না।
গোয়ার উইং প্লে এদিন বন্ধ করে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ মারিও। ফলে যা আক্রমণ হচ্ছিল মিডল করিডর দিয়ে করতে হচ্ছিল। যেখানে সহজেই লোক বাড়িয়ে দিচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রেস করেও কাঙ্খিত গোল ছিল না গোয়া। বুদ্ধি করে লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা দুর্গা আগলে রাখছিলেন।রেফারি অতিরিক্ত সাত মিনিট দিয়েছিলেন। তাতেও গোল হজম করেনি ইস্টবেঙ্গল। আদিল খানের পাশাপাশি মিডফিল্ড সৌরভ দাস অনবদ্য ফুটবল খেললেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে।