তাছাড়া রিকি ভাল কোচ হলেও ফর্ম হারানো ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঠিক রাস্তায় ফেরাতে সৌরভ সবচেয়ে বড় চয়েজ হতেই পারেন। পুরনো দিনের উদাহরণ টেনে ইরফান জানিয়েছেন যখন সৌরভ ভারতের ক্যাপ্টেন ছিলেন, তখন সব সময় ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতেন। বিশেষ করে যে ক্রিকেটার ফর্মে নেই, সেই ক্রিকেটারকে সমর্থন করতেন সৌরভ।
প্রয়োজনে নির্বাচকদের সঙ্গে লড়াই করতেন। কোচ হলে সেটাই করবেন তিনি। কিন্তু ইরফান পাঠান চাইলেও হেড কোচের দায়িত্ব নিতে সৌরভ নিজে রাজি হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কারণ তার সার্জারির পর সৌরভ শারীরিকভাবে বেশি ওয়ার্কলোড নিতে রাজি নন। তিনি প্রধানত ডিরেক্টর হিসেবেই কাজ করছেন। তাই দাদা সম্ভবত নিয়ে রাজি হবেন না এমন সম্ভাবনাই বেশি।
তবে হেড কোচ না হলেও সৌরভ অল্পস্বল্প সময় নেটে ক্রিকেটারদের ভুল শুধরে দেন। এবারের আইপিএলটা ভাল যায়নি দিল্লির। প্রথম পাঁচটা ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছিল। তারপর সৌরভ এবং রিকি পন্টিং ক্রিকেটারদের মোটিভেট করেন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। তাতে কিছুটা হলেও কাজ হয়েছিল। পর পর চারটি খেলা জিতে দিল্লি রাস্তায় আসে।
বল হাতে মুকেশ কুমার, ব্যাট হাতে অক্ষর প্যাটেল উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স করেন। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ বেশ কয়েকটা বড় ইনিংস খেলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। প্লে অফ থেকে ছিটকে যায় দিল্লি। এতটা খারাপ দল ছিল না তারা। তাই ইরফানের মনে হয়েছে সৌরভকে দায়িত্ব দিলে অনেক কিছু ঠিক হবে।