সোমবার খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজলেও হোসেনি, করিমি, হজশফি, তারেমিরা গলা মেলাননি। ইরান সমর্থকদের কেউ কেউ নিজের চোখের জলও ধরে রাখতে পারেননি। প্রকাশ্যে হিজাব না পড়ায় অভিযুক্ত তরুণী মাহশা আমিনির পুলিশ লকাপে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা ইরান। দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ।
আরও পড়ুন - রাস্তার ঝাড়ুদার থেকে মেসির আর্জেন্টিনা বধের নায়ক! কোচ রেনার্ড যেন ফুটবলের মিরাকেল ম্যান
advertisement
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুও হয়েছে। ইরান ফুটবলাররা এই ঘটনার কোনো প্রতিবাদ করছেন না বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই অন্য মনোভাব দেখা গেলো ইরান ফুটবলারদের। রাজনৈতিক মতের ভিন্নতা ইরানে অপরাধ। যার শাস্তি সর্বোচ্চ পর্যন্ত হতে পারে। ২১ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ডও দেয়।
ইতিমধ্যেই ১৫০০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইরানের সেলিব্রিটি, শিল্পী, ক্রীড়াবিদরা বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করেছেন। সমর্থন করেছেন ইরানের তারকা ফুটবলার সরদার আজমউনও। এমনকি গুলি খেতেও রাজি ছিলেন। ইরানের আদালতের এক মুখপাত্র মাসউদ সেতায়েসি , জানিয়েছেন, যারা জাতীয় সংগীত গাইতে অস্বীকার করবে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
এক ইরান সমর্থকের কথায়, আমাদের প্রত্যেকের মন খারাপ আমাদের সহনাগরিকদের ইরানে খুন করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা সবাই আমাদের ফুটবল দল নিয়ে গর্বিত, তারা জাতীয় সংগীত গায়নি বলে, এটা আমাদের জাতীয় সংগীত নয়, এটা দেশের শাসকের জাতীয় সংগীত।
তবে ইরানের ফুটবল কোচ কার্লোস কুইরোজ জানিয়ে দিয়েছেন বিতর্ক চান না। তার লক্ষ্য ইংল্যান্ড ম্যাচ ভুলে গিয়ে আমেরিকা এবং ওয়েলস দলের বিরুদ্ধে নিজেদের মেলে ধরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হেরে গেলেও সব আশা শেষ ইরানের মানতে রাজি নন পর্তুগিজ ম্যানেজার।