তার আগে অকশানে খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য ভারতীয় বোর্ড,বিসিসিআই (BCCI) প্লেয়ার রীটেনসন পলিসি (Player retention policy) এনেছিল। যেখানে আগের ৮টি দল নিজেদের যেকোনো সর্বোচ্চ ৪জন খেলোয়াড় ধরে রাখাতে পারবে। সেই খেলোয়াড়ের তালিকা নভেম্বরের মাসের শেষেই জমা দিতে হয়েছিল দলগুলিকে। গতবারের রানার্স আপ এবং দুবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা (KKR) দল তাদের দুই ক্যারিবিয়ান অল রাউন্ডারকে রেখে দিয়েছে তাদের দলে।
advertisement
তারা হলেন সুনীল নারিন (৬ কোটি) এবং আন্দ্রে রাসেল(১২ কোটি)। বাকি দুই খেলোয়াড় যাদের রাখা হয়েছে তারা হলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৮ কোটি) এবং বরুন চক্রবর্তী(৮ কোটি)।অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান এবং শুভমন গিলকে ছেড়ে দিয়েছে তারা। প্রায় ৪৮ কোটি টাকা হতে নিয়ে নিলামে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিলাম থেকে কিছু নতুন খেলোয়াড় যেমন নেবে কলকাতা দল, ঠিক সেভাবেই কিছু পুরনো খেলোয়াড়কে আবার দলে নেওয়া হতে পারে নিলামের মাধ্যমেই। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খেলোয়াড়কে নেওয়া হতে পারে কলকাতা দলে -
বেন স্টোকস - রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স না করলেও ইংলিশ এই অলরাউন্ডারকে সব ফ্রাঞ্চাইজি তাদের নিজেদের দলে নিতে চাইবে। আগেও দেখা গেছে যে কলকাতা বিদেশি পেস বোলারের জন্য অনেক টাকা খরচ করেছে।স্টোকস কলকাতা দলে এলে ফাস্ট বোলার এবং একজন ব্যাটসম্যান উভয়ের ভূমিকাই পালন করতে পারবে। স্টোকস রাসেল যুগলবন্দী যেকোনো দলের ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারে। তাই স্টোকসকে নেওয়ার কথা ভাবতেই পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও বেন স্টোকস কিন্তু প্রকৃত ম্যাচ উইনার।
দীপক চাহার: সুনীল নারিন এবং বরুন চক্রবর্তী হিসেবে দুই স্পিন বোলারকে নিজেদের দলে রেখেছে কলকাতা দল। তাই তাদের লক্ষ্য থাকবে একজন দেশি পেস বোলার দলে নেওয়া। এই মুহূর্তে দীপক একজন আদর্শ টি টোয়েন্টি দ্রুত গতির বোলার। ভারতের হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি হ্যাট্রিক ও নিয়েছেন তিনি। গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন দীপক। ১৫ ম্যাচে ১৪টি উইকেট নেন তিনি। দীপকের হাতে দুরন্ত সুইং আছে। ডেথ ওভারেও বুদ্ধি করে বল করতে পারেন।
নাথান কুল্টার নাইল: মুম্বইয়ের হয়ে আগের বছর আইপিএলে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই পেস বোলার।মুম্বইয়ের হয়ে খুব বেশি সুযোগ না পেলেও ৫ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মোট পেয়েছেন ৭টি উইকেট। তাকে নিয়ে দলের বোলিং বিভাগে ভারসাম্য আনা যেতে পারে। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে নাইল প্রচুর অভিজ্ঞ। ব্যাট হাতেও বড় শট খেলার ক্ষমতা রাখেন।
শুভমন গিল: আইপিএল ২০২১ এ প্রথম পর্বে ভাল পারফরম্যান্স না করলেও দ্বিতীয় পর্বে মূলত তার হাত ধরেই ফাইনালে ওঠে কলকাতা। ১৭ ম্যাচে ৪৭৮ রান করেন তিনি। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১১৯। ভারতের জার্সি গায়েও যথেষ্ট ভাল খেলেছেন তিনি।তাই তাকে আবার দলে নিতে পারে কলকাতা। গিল নিজেও কেকেআরে থাকতে চান। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের সুপারস্টার। তাই তাকে ছেড়ে দিলেও নিলাম থেকে আবার কিনে নিতে পারে নাইট রাইডার্স।
রাহুল ত্রিপাঠী: অনেকে বলেন আগের বছর কলকাতা দলের রাহুল ত্রিপাঠী ফাইনালে চোট না পেলে চ্যাম্পিয়ন হতেই পারত কেকেআর।১৪০ এর উপর স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাটিং করেন এই ব্যাটসম্যান।কলকাতার বেগুনি জার্সি গায়ে ১৭ ম্যাচে ৩৯৭ রান করেছিলেন তিনি।অধিনায়ক মরগানের খারাপ ফর্মের কারণে মিডল অর্ডারের প্রধান ভরসা ছিলেন তিনি। আবারও মিডল অর্ডারে ব্যাটিং এর দায়িত্বভার সামলাতে ভারতীয় আনক্যাপড এই খেলোয়াড়কে নিতেই পারে কলকাতা। সম্প্রতি বিজয় হাজারেতে শতরান না পেলেও, মোটামুটি ফর্মে আছেন মহারাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান।