ম্যাচে টস জিচে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায় সিএসকে অধিনায়কের জন্য। গুজরাতের হয়ে ওপেনে এদিন বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন শুভমান গিল ও সাঁই সুদর্শন। সিএসকে বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলে করেন গিল ও সুদর্শন। শতরান করেন গুজরাতের দুই ওপেনার। ২১০ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। গড়েন একাধিক রেকর্ড।
advertisement
৫৫ বলে ১০৪ রান করে আউট হন শুভমান গিল। ৯টি চার ও ৬টি ছয়ে সাজানো শুভমান গিলের ইনিংস। অপরদিকে, ৫১ বলে ১০৩ রান করে আউট হন সাঁই সুদর্শন। ৭টি ছয় ও ৫টি চার মারেন তিনি। শেষের দিকে ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেম ডেভিড মিলার। শেষ বলে ২ রান করে রানআউট হন শাহরুখ খান। ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান করে গুজরাত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে সিএসকে। অজিঙ্কে রাহানে ১, রাচিন রবীন্দ্র ১ ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড় খাতা না খুবেই আউট হন। ১০ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় চেন্নাইয়ের। এরপর ড্যারিল মিচেল ও মঈন আলি সিএসকের ইনিংসের রাশ ধরেন। শতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। মারকাটারি ব্যাটিং করে নিজেদের হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ করেন।
আরও পড়ুনঃ KKR vs MI: মুম্বই ম্যাচে কেমন হবে কেকেআরের একাদশ? থাকছে কোন চমক! জেনে নিন বিস্তারিত
মিচেল ও মঈনের ব্যাটে কিছু সময়ের জন্য জয়ের গন্ধ পেয়েছিল সিএসকে। কিন্তু ৬৩ রানে মিচেল ও ৫৬ রানে মঈন ফিরতেই সব আশা শেষ হয়ে যায় সিএসকের। শিবম দুবে ১৮, রবীন্দ্র জাদেজা ১৮ ও এমএস ধোনি ২৬ রানের ইনিংস খেললেও তা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করে সিএসকে। এই ম্যাচ হারের ফলে দিল্লি ও লখনউয়ের প্লেঅফে যাওয়ার পথ খোলা থাকল। কারণ সিএসকে, দিল্লি ও লখনউ ৩ দলই ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। ১২ ম্য়াচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আশা জিইয়ে থাকব আরসিবি ও গুজরাতেও। কেকেআর আর রাজস্থানের একটি করে ম্যাচ জিতলেই প্রথম দুইয়ে থেকে প্লেঅফে যাওয়া পাকা।