ইডেনে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস। এদিন শুরুটা ভাল হয়নি কেকেআরের। গতম্যাচের নায়ক ফিল সল্ট ১০ রান করে আউট হন। তবে এদিন বিধ্বংসী ছন্দে ছিলেন সুনীল নারিন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন আংক্রিশ রঘুবংশী। তিনিও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন দুজনে। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন।
advertisement
রঘুবংশী ৩০ রান করে আউট হওয়ার পর শ্রেয়স আইয়ার, আন্দ্রে রাসেলরা এদিন রান পাননি। তবে নিজের মারকাটারি ইনিংস জারি রাখেন সুনীল নারিন। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে বোল্টের শিকার হন নারিন। ১৩টি চার ও ৬টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। শেষের দিকে ফের মারাকাটির ব্যাটিং করে রিঙ্কু সিং। ২০ করেন রিঙ্কু। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান করে কেকেআর।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল ১৯ ও সঞ্জু স্যামসন ১২ রান করে আউট হন। এরপর ৫০ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ করেন রিয়ান পরাগ ও জস বাটলার। ১৪ বলে ৩৪ করে সাজঘরে ফেরেন পরাগ। এরপর একদিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। অশ্বিন ৮, ধ্রুব জুরেল ২ ও হেটমায়ার শূন্য রানে আউট হন।
একদিকে থেকে উইকেট পড়লেও নিজের ইনিংস চালিয়ে যান বাটলার। একটা সময় রাজস্থানের ওভার পিছু প্রয়োজনীয় রানরেট ১৬-র বেশি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাটলার ও রভম্যান পাওয়েলের বিধ্বংসী ইনিংস ম্যাচে ফেরায় রাজস্থানকে। পাওয়েল ১৩ বলে ২৬ করে আউট হলেও দলকে একা টানেন বাটলার। কেকেআর বোলারদের তুলোধনা করে নিজের শতরান পূরণ করেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। শেষ বলে ম্যাচ ফিনিশ করেন বাটলার।