যশস্বী ২০১৩ সালে জওয়ালা সিংয়ের সংস্পর্শে আসেন। তারপর থেকে তিনি তার সঙ্গে ছিলেন। জওয়ালা সিং পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি সত্যিই যশস্বীর পানিপুরি বিক্রিক করার এই গল্প পছন্দ করি না। কঠোর পরিশ্রমের কারণেই তিনি ক্রিকেট খেলছেন। আজাদ ময়দানের কাছে অনেকেই স্টল বসিয়েছেন। মাঝে মাঝে সন্ধ্যাবেলা ফ্রি হলে তাদের একটু সাহায্য করতেন। যশস্বী নিজে স্টল বসাননি। এমন নয় যে তিনি পানিপুরি বিক্রি করে ভারতের হয়ে খেলেছেন।"
advertisement
যশস্বীর বাবা ভূপেন্দ্র সিংকে উল্লেখ করে জওয়ালা সিং আরও বলেন,"আমি তাঁর সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে দেখা করি। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আমি তাঁর জীবনে দেবতার মতো এসেছি। আপনি যশস্বীকে দিয়ে ঝাড়ু দেওয়ান, ঘর পরিষ্কার করান, শুধু আপনার কাছে রাখুন এবং তাকে একজন ক্রিকেটার বানিয়ে তুলুন।" জ্বলা সিং বলেন,"যশস্বীর পরিবার আমাকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়েছিল"।
জওয়ালা সিং জানিয়েছেন,"যশস্বী জয়সওয়াল তাঁর বাড়িতে ১০ বছর ছিলেন। আমি তাকে আমার ছেলের মতই মানুষ করেছি। ২০১৩ সালের পর তাঁকে আর কোনও সংগ্রাম করতে হয়নি। আমি তাকে ৪০ হাজার টাকার ব্যাট দিয়েছি। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়রা যে ব্যাটে খেলে সেই ব্যাট দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের পর দারিদ্রের কোনও প্রশ্নই নেই। তার আগে যাই হোক না কেন। যশস্বী এবং আমার দুজনেরই এই ধরনের গল্প খারাপ লাগে।" জওয়ালা সিং আরও বলেন, “আমি নিজ যশস্বীকে ব্যাটিং উন্নত করার জন্য নিজের খরচে ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছিলাম। আমি তাঁর সঙ্গে কোচ হিসেবে নয়, বাবা হিসেবে কাজ করেছি।"
জওয়ালা সিংকে যশস্বী জয়সওয়ালের ফুচকা বিক্রির ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন,"যখন তিনি লাইমলাইটে এসেছিল, কিছু লোক এমন একটি ভিডিও চেয়েছিল। তারা যশস্বীকে এমনভাবে দেখাতে অনুরোধ করেন যেন তিনি পানিপুরি বিক্রি করছেন। মজার ভঙ্গিতে, আমিও তাকে বলেছিলাম দাঁড়াতে, যাও... কর। পরে সেটিই ভাইরাল হয়ে যায়"। জওয়ালা সিং বলেন, যশস্বীর কেরিয়ারে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে দিলীপ ভেঙ্গসরকার, ওয়াসিম জাফর, তার স্কুল, ক্লাব এবং মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। যশস্বীর গল্প কঠোর পরিশ্রমের যা তাকে ক্রিকেটার বানিয়েছে।