বর্তমানে লিগ টেবিলের যা অবস্থা তাতে কেকেআর চতুর্থ দল হিসেবে যেতে পারে প্লে অফে। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে প্লে অফের আশা জিইয়ে রাখতে গেলে গুজরাতকে নিজেদের শেষ দুটি ম্যাচে হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালোরকে হারাতে হবে। চেন্নাইয়ের শেষ ম্যাচ বাকি দিল্লির সঙ্গে। সেই ম্যাচে যেই জিতুক কলকাতার তাতে কিছু যায় আসে না। মুম্বইয়ের ম্যাচ বাকি ২ ও পয়েন্ট ১৪। একটি ম্যাচ লখনউয়ের বিরুদ্ধে ও অপরটি হায়দরাবাদ। এক্ষেত্রে দুটি ম্যাচই মু্ম্বই জিতলে লাভ কেকেআরের। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে লখনউ হারলে ১৩ পয়েন্টে আটকে থাকবে তারা। শেষ ম্যাচ কেকেরের বিরুদ্ধে সেখানে কলকাতা জিতলে প্লে অফের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে।
advertisement
এরপর যদি আমরা দেখি আরসিবির দিকে। সেখানে ব্যাঙ্গালোরের বর্তমান পয়েন্ট ১২। ম্যাচ বাকি রয়েছে গুজরাত ও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। দুটি ম্যাচই যদি আরসিবির হারে তাহলে কেকেআরের সুবিধা। রাজস্থান রয়্যালসের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ১২। শেষ ম্যাচ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে যেন হেরে যায় রাজস্থান। কারণ রাজস্থান ১৪ পয়েন্টে পৌছলে তাদের রানরেট অনেক ভালো। সেখাবে পঞ্জাব ১৪ পৌছলেও রানরেট কেকআর থেকে বেশি হলেও খুব নয়। তবে পঞ্জাবকে আরেকটা ম্যাচ দিল্লির বিরুদ্ধে হারতে হবে। তাহলেই ১৪-তে আটকে থাকবে ধওয়ানরা।
আরও পড়ুনঃ Urvashi Rautela: আইপিএলে নেই পন্থ, ফ্যানেরা ঘটালেন এমন কাণ্ড, রেগে আগুন উর্বশী রাউতেলা
এছাড়া হায়দরাবাদের বর্তমান পয়েন্ট ৮, ম্যাচ বাকি ৩। গুজরাতের বিরুদ্ধে সানরাইজার্সকে হারতে হবে ও আরসিবিকে হারাতে হবে। আর একটি ম্যাচ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ হারুক-জিতুক তাতে কিছু যায় আসে না কেকেআরের। শেষে যদি আসি দিল্লির কথায় তাহলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে কেকেআরকে। পঞ্জাবকে দিল্লির হারাতেই হবে। তা না হলে পঞ্জাব ১৬-তে পৌছে যাবে। আর দিল্লির আরেকটি ম্যাচে সিএসকের বিরুদ্ধে সেটির রেজাল্ট যাই হোক তাতে কেকেআরের কোনও লাভ-লোকসান নেই। তবে কেকেআরের সঙ্গে আরও দলের পয়েন্ট ১৪ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে লখনউকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে কলকাতাকে।