ধারাবাহিকতার অভাব এবারের আইপিএলের অন্যতম বড় সমস্যা কেকেআরের। প্রথম থেকেই ব্যাটিং থেকে বোলিং কোনও বিভাগই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারেনি। সিএসকের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে জিততে মরিয়া বদ্ধপরিকর। ব্যাটিংয়ে জেসন রয়, রিঙ্কু সিং, নীতিশ রানা, আন্দ্রে রাসেলরা চিপকে নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে রয়েছে। বোলিংয়ে সুনীল নারিন ফর্মের ধারেকাছে নেই। বরুণ চক্রবর্তী ও সুয়াশ শর্মার স্পিনই ভরসা কেকেআরের। চিপকে ধোনির দলকেই স্পিন অস্ত্রেই কাবু করতে চাইবে কেকেআর। পেস অ্যাটাকে হর্ষিত রানা ও শার্দুল ঠাকুরও শেষ চেষ্টা করতে মুখিয়ে রয়েছেন।
advertisement
অপরদিকে, ১২ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের টিকিট একপ্রকার নিশ্চিৎ করে ফেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এবার তাদের লক্ষ্য এক অখবা দুই নম্বরে শেষ করা। ফলে ইডেনে কেকেআরকে হারামোর পর ঘরের মাঠেও যে একেবারেই ছেড়ে কথা বলবে না ধোনির দল তা বলাই যায়। ব্যাটিংয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ডেভন কনওয়ে, অজিঙ্কে রাহানে, শিবম দুবে সহ কলেই রানের মধ্যে রয়েছে। বোলিংয়েও দলকে ভরসা দিচ্ছে দীপক চাহার, মাথিসা পাথিরানা, তুষার দেশপাণ্ডে, মাহেশ থিকসানা, রবীন্দ্র জাদেজারা। ঘরের মাঠে নিজেদের দুরন্ত ফর্ম ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস সিএসকে।
আরও পড়ুনঃ Salman Khan: ইস্টবেঙ্গলের ভালবাসায় আপ্লুত সলমন খান, লাল-হলুদের আজীবন সদস্য পদ পেয়ে গর্বিত ‘ভাইজান’
আইপিলের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের থেকে অনেক বেশি ব্যালান্সড দল চেন্নাই সুপার কিংস। সবথেকে বড় বিষয় হল এমএস ধোনির অধিনায়কত্ব। ফলে চিপকে ঘরের মাঠে সিএসকে যে অনেকটা এগিয়ে থেকেই শুরু করবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেখানে কেকেআর কতটা লড়াই দিতে পারে সেটাই দেখার। তবে একতরফা নয়, আরও একটি নেল বাইটিং থ্রিলার দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমিরা।