এদিন ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক শিখর ধওয়ান। তার সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল তা প্রমাণ করে দেয় দলের বোলাররা। ভারতীয় স্পিন অ্য়াটাকের সামনে কার্যত নাকানি-চোবানি খেতে হয় প্রোটিয়া ব্য়াটসম্য়ানদের। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন হেনরিক ক্লাসেন। এছা্ড়া ১৫ রান করেন জানেমান মালান, ১৪ রান করেন মার্কো জানসেন। এছাড়া কোনও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্য়াটাক ১০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি।
advertisement
হেনরিক ক্লাসেন ৩৪ রান না করলে আরও শোচনীয় অবস্থা হচ দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন সুন্দর, শাহবাজ। পেসারদের মধ্য়ে একমাত্র মহম্মদ সিরাজও দুটি উইকেট নিয়েছেন। ভারতীয় স্পিন ত্রয়ীর কোনও মোকাবিলাই এদিন করতে পারেনি প্রোটিয়া ব্য়াটাররা। ২৭.১ ওভারেই ৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
মাত্র ১০০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল ভারতীয় দুই ওপনার শিখর ধওয়ান ও শুবমান গিল। প্রথম দুটি ম্য়াচে রান না পেলেও এদিন ছন্দে ছিলেন গিল। বেশ কিছু অনবদ্য় শট খেলেন শুবমান গিল। ওপেনিং জুটিতে শিখর ও গিল ৪২ রান করেন। এরপর ব্য়ক্তিগত ৮ রান করে দুর্ভাগ্য় বশত রানআউট হয়ে যান শিখর ধওয়ান। এরপর ইশান কিশান ক্রিজে আসলেও এদিন বড় রান পাননি। ১০ রান করে ইমাদের বলে আউট হন তিনিষ ৫৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ভারতের।
এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন শুবমান গিল ও শ্রেয়স আইয়র। একদিকে থেকে আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং করে শ্রেয়স। অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান গিল। কিন্তু মাত্র ১ রানের জন্য় অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন তিনি। দলের ৯৭ রানের মাথায় ব্য়ক্তিগত ৪৯ রান করে এলগিডির বলে আউট হন গিল। এরপর শ্রেয়স আইয়র ও সঞ্জু স্য়ামসন দলকে জয়ের লক্ষ্য়ে পৌছে দেন। ২৮ রানে শ্রেয়স ও ২ রানে সঞ্জু অপরাজিত থাকেন। সিরিজ জয়ের পর উচ্ছ্বাসে মাতে ভারতীয় দল।