ভারতের হয়ে সবথেকে সফল বোলার কুলদীপ যাদব এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ৷ তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব প্রসিদ্ধের৷ চার উইকেট নিলেও দশ ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়েছেন প্রসিদ্ধ৷ তবে একই ওভারে শতরান করা ডি কক এবং ব্রিৎজকে-কে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে ম্যাচেও ফেরান তিনি৷ ১০ ওভার বল করে মাত্র ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ৷একটি করে উইকেট পান আর্শদীপ এবং জাদেজা৷
advertisement
ইনিংসের শুরু থেকে প্রোটিয়াদের চাপেই রেখেছিলেন ভারতীয় বোলাররা৷ ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার রিকেলটনকে ফিরিয়ে দেন আর্শদীপ৷ প্রথম দশ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ যদিও দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক৷ তিনি এবং অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা মিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন৷ ২০ ওভারের আগেই স্কোরবোর্ডে একশো তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ব্যক্তিগত ৪৮ রানের মাথায় জাদেজার বলে আউট হন বাভুমা৷ অধিনায়ক ফিরে গেলেও আগের ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে অবদান রাখা ব্রিৎজকে ক্রিজে এসেই সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন৷ ২৮.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান তুলে ফেলে প্রোটিয়ারা৷ সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের সামনে ৩০০ রানের উপরে টার্গেট দেবে বলেই মনে হচ্ছিল৷
ডি কক- ব্রিৎজকে জুটি যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন, তখনই ২৯ তম ওভারে প্রথমে ব্রিৎজকে (২৪) এবং তার পর ডি কক (১০৬)-কে ফেরান প্রসিদ্ধ৷ এর পরেই কুলদীপের স্পিনের জালের সামনে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং৷ ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানের থেকে পর পর উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান তুলতে গিয়ে ৩৮.৩ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানে পৌঁছয় প্রোটিয়ারা৷ শেষ দিকে কেশব মহারাজ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ৪৭.৫ ওভারে ২৭০ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা৷
টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠে হোয়াইট ওয়াশ হওয়া পর একদিনের সিরিজ জিতে কিছুটা সম্মান পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতের চাই ২৭১ রান৷
