গর্জে উঠেছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। সত্যি কথা বলতে তিনি কখনও ভয় পান না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে প্রথমবার ভারতের পরাজয় সমর্থকদের পক্ষে হজম করা কঠিন তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু মহান অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে যখন যা কিছু হতে পারে। খেলায় গ্যারান্টি বলে কিছু হয় না। ভারতের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামিকে পাকিস্তান ম্যাচের পর যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হয়েছে তা নজিরবিহীন।
advertisement
অতীতে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ভারতের অধিনায়ক ছিলেন।সরব হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তিনি টুইটারে লিখেছেন, মহম্মদ শামিকে যেভাবে অনলাইনে আক্রমণ করা হয়েছে তা শকিং! আমরা তাঁর পাশে রয়েছি। শামি একজন চ্যাম্পিয়ন। ভারতীয় দলের টুপি পরে যাঁরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁদের হৃদয়জুড়ে দেশাত্মবোধ রয়েছে, অন্তত অনলাইনে যাঁরা এ সব লেখালিখি করেন তাঁদের চেয়ে অনেক বেশিই। শামি তোমার সঙ্গে রয়েছি! বীরু বার্তার শেষে শামির উদ্দেশে লিখেছেন, অগলে ম্যাচ মে দিখাদো জ্বলওয়া!
এখানেই থেমে থাকেননি বীরু। তিনি টুইটে আরও লিখেছেন, দিওয়ালির সময় ভারতের নানা প্রান্তে আতসবাজি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু পাকিস্তানের জয় উদযাপনের জন্য এ দেশেই আতসবাজি ফাটানো হলো! কেউ বলতেই পারেন, এভাবে তাঁরা ক্রিকেটীয় জয়ের সেলিব্রেশনে মেতেছেন। তাহলে দিওয়ালির সময় আতসবাজির দোষটা কোথায়? এই দ্বিচারিতা কেন? সব জ্ঞানের কথা কি তখনই মাথায় আসে? ধর্ম নিয়ে খোঁচা দিয়ে মা-সহ পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য আসতে থাকে নেটাগরিকদের কাছ থেকে।
অনেকেই অবশ্য শামিকে এভাবে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারের সমর্থনে বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তান ম্যাচেই ভারতীয় দল হাঁটু গেঁড়ে বসে বার্তা দিয়েছিল। এখন শামিকে যেভাবে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় দলেরও উচিত দৃষ্টান্তমূলকভাবে তার প্রতিবাদ করা। বিরাট কোহলিদের মোটেই চুপ থাকা উচিত নয়। সাবা করিম, সৈয়দ কিরমানি, জাহিদ খান, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান, মুনাফ প্যাটেল একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়েও ভারতের জার্সিতে গর্বের সঙ্গে খেলেছেন। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এই অন্যায় মেনে নিতে পারছেন না।