ভারতকে প্রথমবারের মতো হারানো অধিনায়ক, শুধু এটুকুই যথেষ্ট ছিল ইতিহাসে আজমের জায়গা করে দেওয়ার জন্য। তবে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬৯ রান করে ক্রিকেটীয় দিক থেকেও নিজের কাজটা সেরে নিয়েছেন। ভারতকে হারানোর ওই মুহূর্তে মাঠেই ছিলেন বাবর। জয় এনে দেওয়া শটটাও ছিল পাকিস্তান অধিনায়কের। গ্যালারিতে বসে সেটাই দেখছিলেন আজম সিদ্দিকী।পাকিস্তানের জয়ের মুহূর্তে আশপাশে থাকা সমর্থকেরা যখন এসে আজম সিদ্দিকীকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন, তখন আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বহু চেষ্টা করেও কান্না থামাতে পারেননি। আর তাঁর এ কান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
আর ছেলের ওপর কতটা আস্থা ছিল আজম সিদ্দিকীর সেটা জানা গেল এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের সুবাদে। কাল তাঁর কান্নার সে ভিডিও শেয়ার দিয়ে মাজহার আরশাদ নামের এ পরিসংখ্যাননির্ভর এই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ‘উনি বাবর আজমের বাবা। তাঁর জন্য আনন্দিত। ২০১২ সালে আদনান আকমলের বউভাতে প্রথম তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। পাকিস্তান দলে অভিষেক হতে বাবরের তখনো তিন বছর বাকি। আমার এখনো পরিষ্কার মনে আছে, তখন বাবরের বাবা কী বলেছিলেন, “শুধু অভিষেক হতে দাও। সামনে বাবরই রাজত্ব দেখাবে।”’ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে সেটা করে দেখিয়েছেন বাবর। প্রমাণ করেছেন কেন তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের দুই নম্বর টি টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান।