#রাঁচি: রবিবার ইডেনে সিরিজের ফয়সালা নাকি আজ শুক্রবার মহেন্দ্র সিং ধোনির শহরেই সিরিজ জয়? সকাল থেকে এটাই প্রশ্ন ছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডকে কলকাতায় দাওয়াত দেওয়ার আগেই সিরিজ নির্ণয় করে ফেলল ভারত। দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে ভারত। অধিনায়ক রোহিত এবং সহ-অধিনায়ক রাহুল মিলে আবার দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।
advertisement
২৯ রানের মাথায় রোহিতের সহজ কাজ ফেলে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। অ্যাডাম মিলনের বলে কভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন রাহুল। বারো ওভারের মাথায় একশো রানের পার্টনারশিপ তৈরি করে ফেললেন রোহিত এবং রাহুল। এই জায়গা থেকে ভারতের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু রাহুল মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ফিলিপসের হাতে (৬৫)।
১১৭ রানের পার্টনারশিপ ভারতের সিরিজ জয়ের ঠিকানা লিখে দিল। তিন নম্বরে এলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার।রোহিত শর্মা আউট হয়ে গেলেন সাউদির স্লোয়ার বল বুঝতে না পেরে (৫৫)। এলেন সূর্যকুমার। সেই সাউদির বলেই প্লেড অন হলেন।তিন উইকেট নিলেন সাউদি।ঋষভ পন্থ এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার ক্রিজে থাকার সময় হঠাৎ করেই ভারত কেমন যেন ব্যাকফুটে চলে গেল। বোল্ট দুর্দান্ত বল করতে শুরু করলেন। কিন্তু রান কম, বল বেশি। এই জায়গা থেকে ভারতের হারা সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। সিরিজ পকেটে চলে এল কলকাতায় আসার আগে।
সিরিজের দ্বিতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিকে ২০ ওভারে উইকেট ৬ হারিয়ে ১৫৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এই টার্গেট জয়পুরের চেয়ে কম। ভারত রাঁচিতে কখনও টি ২০ আন্তর্জাতিকে হারেনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৩৪ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ড্যারিল মিচেল দুজনেই করেন ৩১ রান করে। মহম্মদ সিরাজের হাতে চোট থাকায় এই ম্যাচে অভিষেক হয় এবারের আইপিএলে সর্বাধিক উইকেটশিকারী হর্ষল প্যাটেলের। তিনি এদিন ভারতের সফলতম বোলার। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিলেন দুটি উইকেট। ভরসা দিলেন ডেথ ওভারেও।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ থেকে বিদায়ের জ্বালা এই সিরিজ জয় ভোলা সম্ভব নয়। কিন্তু যদি পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে চলা টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টার্গেট হয় ভারতের, তাহলে এই সিরিজ তার প্রথম পদক্ষেপ। অধিনায়ক রোহিত এবং কোচ রাহুল দ্রাবিড় দলকে সঠিক পথে নিয়ে যাবেন, আশা করতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।জিমি নিশামের বলে ছক্কা মেরে শেষ হাসি হাসলেন পন্থ।১৬ বল বাকি থাকতেই।