ইনদওরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। তাসমিন বিউমন্ট ও অ্যামি জোন্স ওপেনিং জুটিতে দুরন্ত শুরু করেন। ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ করেন ওপেনিং জুটিতে। অ্যামি জোন্স ৫৬ রান করেন। চতুর্থ উইকেটে বড় পার্টনারশিপ গড়েন ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট ও হেদার নাইট। এই জুটি ব্যাটিং করার সময় মনে হচ্ছি ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
advertisement
চতুর্থ উইকেটে এই দুজন মিলে ১১৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন। ইংল্যান্ড ৩০০-র বেশি স্কোর করবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ব্রান্ট ৩৮ রানে ফিরতেই ম্যাচে ফেরে ভারতীয় দল। নাইট সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ১০৯ রানে রানআউট হন তিনি। এরপর স্লগ ওভারে ম্যাচের রং পাল্টে দেন ভারতীয় বোলাররা। মোট ৫টি উইকেট পড়ে স্লগ ওভারে। ইংল্যান্ডকে ২৮৮ রানে বেঁধে দেয় টিম ইন্ডিয়া। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা।
২৮৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই প্রতীকা রাওয়ালের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। স্মৃতি মন্ধনা ছন্দে থাকলেও হারলিন দেওল তাঁকে বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি। ২৪ করে আউট হন হারলিন। এরপর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর ও স্মৃতি মন্ধনা মিলে ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। দ্রুত গতিতে রান করার পাশাপাশি উইকেটও সামলে রাখেন দুই তারকা ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে ১২৫ রানের পার্টনারশিপ করে ভরতের জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন হরমন ও স্মৃতি।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: কেরিয়ার নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি! জেনে নিন বিস্তারিত
হরমনপ্রীত কউর ৭০ বলে ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন। স্মৃতি অপরদিকে নিজের ব্যাটিং চালিয়ে যান। তাঁকে সঙ্গ দেন দীপ্তি শর্মা। ৮৮ রানে আউট হন স্মৃতি মন্ধনা। আর ৫০ রানে সাজঘরে ফেরেন দীপ্তি শর্মা। স্লগ ওভারে বল প্রতি রান দরকার ছিল ভারতের। কিন্তু স্মৃতি ও দীপ্তি আউট হতেই রানের গতিবেগ কমে ভারতের। রিচা ঘোষ ৮ রানে আউট হন। অমনজিত কউর ও স্নেহ রানা শেষ পর্যন্ত থাকলেও ম্যাচ ফিনিশ করতে পারেননি। ৪ রানে ম্যাচ দিতে সেমির টিকিট পাকা করে ফেল ইংল্যান্ড। অপরদিকে, ভারতের শেষ দুটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ জেতার পাশাপাশি সেমির টিকিট পাকা করতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের উপর।