প্রথম থেকেই ভারত ও চিনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ১৩টি রোলারকোস্টার গেমের পর চূড়ান্ত লড়াই পর্যন্ত বোঝার উপায় ছিল না শিরোপা উঠতে চলেছে কার মাথায়। উভয় প্রতিযোগীউ সমান-সমান পয়েন্টে ছিলেন। ডি গুকেশ ও ডিং লিরেন দুজনেরই পয়েন্ট ছিল ৬.৫। বৃহস্পতিবার ছিল ১৪তম ম্যাচ। জয়ের জন্য দরকার ছিল এক পয়েন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের নার্ভ ধরে রেখে বাজিমাত করেন ভারতীয় দাবাড়ু। গুকেশ জিতে এক পয়েন্ট পেতেই পৌঁছে যান ৭.৫ পয়েন্টে। ফলে আর টাইব্রেকার খেলার প্রয়োজন চিনকে হারিয়ে জিতে নেন বিশ্বজয়ের শিরোপা।
advertisement
জয়ের পর স্বভাবতই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ডি গুকেশ। কাঁদতেও দেখা যায় তাঁকে। ৭ বছর বয়স থেকে দাবা খেলা শুরু করেছিলেন গুকেশ। মাত্র ১২ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে ভারতের কনিষ্ঠতম ও বিশ্বের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম হিসেবে গ্র্যান্ড মাস্টার হন ডি গুকেশ। এতদিন ঝুলিতে এসেছিল একাধিক সাফল্য। তবে যেই স্বপ্নটা এতদিন ধরে দেখতেন তা সত্যি হল। বসলেন বিশ্বনাথন আনন্দের সঙ্গে একই আসনে।