তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন একদিনের বিশ্বকাপের আগে ওপেনিং নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ভারতকে। এদিন বিরাট অথবা সূর্য কুমার নিজেদের স্বাভাবিক বড় রান করতে না পারলেও ৩৫০ টার্গেট দিতে কষ্ট পেতে হয়নি ভারতকে। এত বড় রান তাড়া করে নিউজিল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে দেবে সেটা দুঃস্বপ্নেও ভাবা যায় না। নিউজিল্যান্ডের শুরুটা যদিও খারাপ হয়নি।
advertisement
ডেভন কনওয়েকে (১০) ফিরিয়ে দেন সিরাজ। ফিন অ্যালেন (৪০) একটা লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন। তাকে তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর। হেনরি (১৮), মিচেল (৯), ফিলিপস বড় স্কোর করতে না পারলেও নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক লাথাম (২৪) কিছুটা প্রতিরোধ তৈরি করেন। তাকে বাউন্সার দিয়ে ফিরিয়ে দেন সিরাজ। ১৩১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে নিউজিল্যান্ড, তখনই পাল্টা লড়াই শুরু স্যান্টনার এবং ব্রেসওয়েল জুটি।
৫৭ বলে সেঞ্চুরি করলেন ব্রেসওয়েল। ৩০ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে নিউজিল্যান্ড তুলে ফেলল ১০৩ রান। ব্রেসওয়েলকে থামানোর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিল না ভারত। অনায়াস ভঙ্গিতে ভারতীয় বোলারদের বাউন্ডারির বাইরে পাঠা ছিলেন এই বাঁহাতি। ঠান্ডা মাথায় থাকে সমর্থন দিয়ে গেলেন স্যান্টনার।
তিনিও নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। নিশ্চিত হারের মুখ থেকে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকল এই জুটি। চাপে পড়ে গেল ভারত। এই কারণেই বোধহয় ক্রিকেটকে বলা হয় মহান অনিশ্চয়তার খেলা। স্যান্টনার ফিরলেন ৫৭ করে সিরাজের বলে।
এরপর শিপলিকে বোল্ড করলেন সিরাজ। এদিন অসাধারণ বল করলেন সিরাজ। চাপের মুখে তিনি ছিলেন সবচেয়ে ধারাবাহিক ভারতীয় বোলার। ফলে ব্যাটে গিলের আতশবাজির পর বল হাতে সিরাজের স্বপ্নের ৪৬ রানে ৪ উইকেট ম্যাচটা আবার নিয়ে এল ভারতের পক্ষে। আজ ছিল সিরাজের ঘরের মাঠে খেলা।
কিন্তু এরপরেও থামানো যায়নি ব্রেসওয়েলকে। একার হাতেই অদম্য লড়াই চালাতে থাকেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল কুড়ি রান। শর্দুল ঠাকুরের হাতে বল তুলে দেন রোহিত। প্রথম বলেই ছয় মারেন ব্রেসওয়েল। তবে এরপর তাকে এল বি ডব্লিউ করে দেন ঠাকুর। ভারত জয় পায় ১২ রানে। গিলের ডবল সেঞ্চুরি জলে গেল না, এটাই আজকের বড় প্রাপ্তি। তবে নিউজিল্যান্ড কেন বিশ্বের এক নম্বর দল তারা আবার বুঝিয়ে দিল।