এরপর অবশ্য অধিনায়ক রোহিত শর্মা বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন। ৩১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি বাউন্ডারি এবং দুটি ছক্কা দিয়ে। পূজারার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে গেলেন। এরপর অবশ্য বিরাট এবং পূজারা মিলে ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন। সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন।
লক্ষ্য ছিল যত বেশি সম্ভব উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জয়। তার আগে সকালে রবীন্দ্র জাদেজার ৭ এবং অশ্বিনের ৩ উইকেট অস্ট্রেলিয়ার হাওয়া বের করে দিয়েছিল। কেন এই দুজন ভারতীয় উইকেটে সব সময় বিপদজনক তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা মূর্খের মতো সুইপ মারার চেষ্টা করে গেলেন। তার দাম দিলেন।
advertisement
আজ ভারতের জয়ের মধ্যেও অগ্নিপরীক্ষা ছিল চেতেশ্বর পূজারার। তার রাজ্য সৌরাষ্ট্র রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পূজারা নিজেও আজ উইকেটে থেকে খেলাটা শেষ করে আসতে মরিয়া ছিলেন। ভারতীয় কন্ডিশনে তার গুরুত্ব সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যায়নি হয়তো কিছুটা প্রমাণ করলেন প্রথম ইনিংসে শূন্য করার পর। তবে অস্ট্রেলিয়ার থেকে খেলাটা ক্রমশ ছিনিয়ে নিলেন সেই বিরাট কোহলি।
সঠিক মানসিকতা দেখালেন, পায়ের কাজ এবং ডিফেন্স ছিল দেখার মত। সাদা বলের ক্রিকেটে আগেই কামব্যাক করেছিলেন। আজ লাল বলের টেস্ট ক্রিকেটেও দায়িত্ব নিলেন কিং কোহলি। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে দেখে অসহায় লাগছিল। কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বল হাতেও সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি।
প্রথম টেস্টে বল হাতে মারফি যে ভূমিকা পালন করেছিলেন দিল্লিতে সেটা করতে পারেননি। লায়ন ভাল চেষ্টা করলেও সেটা ভারতকে আটকানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিল না। ফল যা হওয়ার তাই হল। বর্ডার গাভাসকার সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত। আর একটা টেস্ট জিতলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে। তবে ভারতের লক্ষ্য আরও বেশি। ৪-০ অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইছে তারা।
তবে হঠাৎ করেই বিরাট কোহলি আউট হয়ে গেলেন। কিন্তু এরপর শ্রেয়স আইয়ারও ফিরে গেলেন ১২ করে। লাঞ্চের আগেই তিনি খেলা শেষ করতে মরিয়া ছিলেন। কিন্তু লায়নের বলে ধরা পড়লেন। শেষ বেলায় কিপার ভরত এসে ৩ টে বাউন্ডারি মারলেন।