#পার্ল: নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে গত সপ্তাহে জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বপ্ন। ধূলোয় গড়াগড়ি খেয়েছে টেস্ট জয়ের আশা। পরের দিন আরও বড় চমক অপেক্ষা করছিল। আচমকাই টেস্টের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন কোহলি। এখন দেখার, রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ওয়ান ডে সিরিজের স্টপগ্যাপ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে গাইড করার সদিচ্ছা তিনি দেখান কিনা। যেমনটা এক সময় ধোনি তাঁকে করতেন।
advertisement
কোহলি উদারতা দেখাক বা না দেখাক, এবার কিন্তু আতসকাচের নীচে থাকবে তাঁর ব্যাটিং। টেস্ট সিরিজে রক্ষণাত্মক দেখিয়েছিল তাঁকে। তবে এবার গিয়ার পাল্টে শটের ফুলঝুরি ছোটানোর চ্যালেঞ্জের সামনে ভিকে। কঠিন পরীক্ষা ওপেনার শিখর ধাওয়ানেরও। রোহিত শর্মা ফিরলে প্রথম এগারোয় জায়গা অনিশ্চিত তাঁর। পায়ের তলার জমি শক্ত করতে এটাই সেরা মঞ্চ। পার্ল, ছবির মতো সুন্দর মাঠে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক বাভুমা।
ওপেনার জানেমান মালানকে (৬) ফিরিয়ে দিলেন বুমরাহ। কুইন্টন ডি কক (২৭) ভাল ব্যাট করছিলেন। বল করতে এসেই প্রথম বলে বোল্ড করলেন অশ্বিন। মার্করামকে (৪) সরাসরি থ্রো করে ফিরিয়ে দিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এই জায়গা থেকে অধিনায়ক বাভুমা এবং ভ্যান ডের দুসেন সামলে নিলেন। ধৈর্য দেখালেন।
বুমরাহ, ভুবনেশ্বর, অশ্বিন, চাহালদের বিরুদ্ধে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন দুজনে। দুজনেই করলেন অর্ধশতরান। ভারতের দুই স্পিনার উইকেট থেকে টার্ন আদায় করছিলেন। বিশেষ করে চাহাল দারুণ বল করেন। কিন্তু বাভুমা এবং ডুসেন দুজনেই উইকেট কামড়ে পড়ে রইলেন। ৩৮ ওভারে ২০০ তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট খুব একটা দ্রুতগতির ছিল না।
বল পড়ে সেভাবে ব্যাটে আসছিল না। তবে দুজন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান যথেষ্ট মানিয়ে নিয়েছিলেন পিচের গতির সঙ্গে। দুজনেই জানতেন নতুন ব্যাটসম্যান এসে মানিয়ে নিতে যতটা সময় নেবেন, তা থেকে তারা দুজন যতদূর পর্যন্ত থাকতে পারবেন, তত বেশি রান ওঠার সম্ভাবনা। সেটাই করলেন।
বাভুমা একদিনের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতরান পেয়ে গেলেন। অন্যদিকে শতরান পেলেন ভ্যান দু সেন। বাভুমা আউট হয়ে গেলেও তিনি অপরাজিত রইলেন ১২৯ রানে। যে রান দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে, সেটা তোলা ভারতের পক্ষে অসম্ভব নয়। কিন্তু প্রথম তিন জন ব্যাটসম্যানকে ভরসা দিতে হবে।