২০ ওভারে ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত ১৯৪ রানে সমান স্কোরে পৌঁছয়৷ যা বাংলাদেশের দেওয়া স্কোরের সঙ্গে সমান হওয়ায় ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়।
ভারত যেহেতু টার্গেট চেজ করছিল তাই ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুপার ওভারের টার্গেট দিতে হত। আশা করা হয়েছিল সূর্যবংশী সুপারওভারের নেতৃত্ব দেবেন, তার পাশাপাশি প্রিয়াংশ আর্য, অধিনায়ক জিতেশ শর্মা, রমনদীপ সিং বা আশুতোষ শর্মার থেকে বাকি ২ জন থাকবেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে, সুপার ওভারে রমনদীপের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন জিতেশ। রমনদীপ গোল্ডেন ডাকে আউট হওয়ার পর, আশুতোষও সূর্যবংশীও গোল্ডেন ডাকেই আউট হয়ে যান৷
advertisement
সুপার ওভারে ভারত কোনও রান করতে না পারায় আশুতোষও গোল্ডেন ডাকে আউট হন, যা লজ্জাজনক ছিল। সুয়াশ শর্মার ডেলিভারি ওয়াইড ঘোষণা করায় সিঙ্গেল রানের জন্য বাংলাদেশের দুটি বলের প্রয়োজন ছিল। সূর্যবংশীকে না পাঠানোর জন্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উপর ইন্টারনেট ক্ষোভের বিস্ফোরণ হচ্ছে৷ বিশেষ করে এদিন তিনি ওপেনিংয়ে ১৫ বলে ৩৮ রান করেছিলেন তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৫৩.৩৩ -র মতো অসাধারণ ।
“বৈভব সূর্যবংশীকে ব্যাট করতে দেওয়া হয়নি, কারণ অধিনায়ক জিতেশ লাইমলাইট ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলেন এমনটাই মনে করছে নেটিজেনরা৷
“সুপার ওভারে বৈভব সূর্যবংশীকে ব্যাট করতে পাঠাচ্ছি না? এই ছেলেরা কী ধূমপান করছে,” প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ডোড্ডা গণেশ এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মত লিখেছেন৷
“বৈভব সূর্যবংশী এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই ভারতকে বাঁচিয়েছেন এবং কিছু মাস্টারমাইন্ড তাকে সুপার ওভারে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ভারতরত্ন পাওয়ার যোগ্য,” অন্য একজন ব্যবহারকারী টুইট করেছেন।
২৩ নভেম্বর, রবিবার দোহায় ফাইনালে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।
