জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ইনিংসের শেষ বলে সূর্যকুমার যাদবের ছক্কায় মন্ত্রমুগ্ধ ক্রিকেট মহল। অফস্টাম্পের বাইরে থেকে রিচার্ড এনগারাভার ফুলটসকে যেভাবে তিনি স্কুপ করে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে পাঠান, তা নিয়ে চর্চা চলছে। কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরও তাঁর ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান’ তকমাকে যথার্থ বলেই স্বীকৃতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন - ৯ জন স্ট্রাইকার, নেই কুতিনহো! কাতার বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল ঘোষণা ব্রাজিলের
advertisement
কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও পকিষ্কার ঘোষণা করেছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা টি-২০ ব্যাটার সূর্যই। প্রাক্তন অজি তারকা শেন ওয়াটসনের চোখে তিনি ‘বিরল প্রতিভা। সূর্যকুমারের অভিনব শটের ডালিতে কী নেই! ক্রিকেট রসায়নাগারে রীতিমতো গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর কব্জির নমনীয়তা। কীভাবে সম্ভব এত অবলীলায় মাঠের চারদিকে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটানো!
বিস্ময় যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই ব্যাপারে কী বলছেন স্বয়ং সূর্য? ৩২ বছর বয়সি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানটি অকপটে ফাঁস করেছেন ঈর্ষণীয় সাফল্যের গোপন রহস্য। জানিয়েছেন, বৈচিত্র্যময় বেনজির সব শটের নেপথ্যে রয়েছে রবার বলে খেলার অভিজ্ঞতা। তাঁর কথায়, বোলার কী বল করতে চলেছে, তা আগাম বুঝে ফেলা জরুরি।
আর রকমারি স্কুপ আমি রপ্ত করেছি রবার বলে খেলার সময় থেকেই। তার জন্য মাথায় রাখতে হয় ফিল্ডারদের অবস্থান। পিছনে কতদূরে বাউন্ডারি রয়েছে, সেটাও খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ইনিংসের শেষ বলে আমি যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, সেখান থেকে ৬০-৬৫ মিটার দূরে ছিল সীমানা। যে গতিতে বল আসছিল তাতে ঠিকভাবে ব্যাটে-বলে হলে ছক্কা হবে বলেই আমার বিশ্বাস ছিল।
দেশের জার্সিতে টি-২০ ফরম্যাটে হাজার রান করে ফেললেন সূর্য। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এমন কীর্তি গড়লেন তিনি। আর আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্বিতীয়। সূর্যর আগে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে গত বছর হাজার রানের স্বাদ পেয়েছিলেন পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ান।
স্বপ্নের ফর্ম প্রসঙ্গে সূর্য বলেছেন, ক্রিজে গিয়ে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করি। তা না হলে খুচরো রানে নজর দিই। ফিল্ডিংয়ের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বল ঠেলে জোরে দৌড়ই। পিচের চরিত্র বুঝে কোন স্ট্রোকগুলো নেওয়া উচিত তা দ্রুত ঠিক করে ফেলি। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে সুইপ, কাট, কভারের উপর দিয়ে মারায় নজর দিই। চ্যাম্পিয়ন হতে আর দুটো ম্যাচ এই খেলা ধরে রাখতে চান সূর্য।