জোয়াও ফেলিক্স (পর্তুগাল)
প্রথম দেখায় কখনো কাকা, কখনো সের্হিও আগুয়েরোর কৈশোরবেলার কথাও মনে করিয়ে দেন জোয়াও ফেলিক্স। আবির্ভাবে চমকে দেওয়া এই উইঙ্গারের সেরাটা এখনো বের করে আনতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। কিন্তু সন্দেহাতীতভাবেই প্রজন্মের সেরাদের একজন পর্তুগিজ উইঙ্গার। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দের দলে দুর্দান্ত সব ফরোয়ার্ডের ভিড়েও মূল একাদশে জায়গা নিশ্চিত তাঁর। দুই বছর ধরে জমে ওঠা ক্লাব ফুটবলের হতাশা ভুলতে ইউরোর চেয়ে ভালো উপলক্ষ পাবেন না ২১ বছরের তারকা। নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে চাইবেন।
advertisement
দেয়ান কুলুসেভস্কিও ( সুইডেন)
ইতিমধ্যেই সুইডেনের সোনার ছেলে বলে ডাকা হচ্ছে তাঁকে। বা পায়ের ফুটবলারটি নিজের ছন্দে থাকলে দেখার মত স্কিল রয়েছে।হতাশা ভুলতে চাইবেন সুইডেনের দেয়ান কুলুসেভস্কিও। জুভেন্টাসের হয়ে এ মরশুমে মোটে চার গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। ইউরোর শুরুটাও হচ্ছে দুঃসংবাদ দিয়ে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্পেনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না কুলুসেভস্কি। পরের ম্যাচগুলোতেও তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় আছে। স্বয়ং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো তাঁর প্রশংসা করেছেন।
কাই হাভার্টজ ( জার্মানি)
জার্মানির আগামীদিনের সুপারস্টার।এই মরশুমে রেকর্ড দলবদলে চেলসিতে যোগ দিয়েছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলেও ক্লাব মরশুম টা শেষ করেছেন দুর্দান্তভাবে। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোলের জন্য ফাইনালকে বেছে নিয়ে চেলসিকে মহা আরাধ্য শিরোপাটা এনে দিয়েছেন ২১ বছর বয়সী হাভার্টজ। জার্মান দলেও ইয়োখিম লুভের বড় অস্ত্র হতে পারেন তিনি। বা পায়ের ফুটবলারটি যেমন খেলা তৈরি করতে পারেন, তেমনই গোল করতেও দক্ষ। জার্মান ফুটবলের পরিচিত শক্তি যেন প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় এই ছেলেটির স্কিল দেখলে।
ফিল ফোডেন (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ড দলে ফিল ফোডেনের মতো এক মিডফিল্ডার আছেন। রুদ খুলিতের মতো কিংবদন্তি যাঁকে লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করেছেন। ম্যানচেস্টার সিটিতে গার্দিওলার অধীন দিন দিন আরও ধারালো হচ্ছেন ফোডেন। তাঁর কারণেই একাদশে জায়গা না–ও হতে পারে চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো মিডফিল্ডার মেসন মাউন্ট আর আর্সেনালের ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার বুকায়ো সাকার। পেপ গার্দিওলা দু বছর আগেই জানিয়েছিলেন এই ছেলেটি র বয়সে লিওনেল মেসিও এত উন্নত ছিল না।
ফোডেন তাঁর দেখা সেরা প্রতিভা মন্তব্য করেছিলেন স্প্যানিশ কোচ।