নিউজ 18 বাংলার খবরের সূত্র বলছে, চেষ্টা চলছে বরফ গলানোর। সমাধান সূত্র খোঁজার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে দুই তরফেই। তবে সমস্যা মিটবেই কিংবা সমাধানসূত্র অধরা থাকবে, কোনটাই এখনও নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি। তবে লাল হলুদ সমর্থকদের জন্য স্বস্তির খবর হল, দু'পক্ষই নিজেদের পূর্ববর্তী অনড় অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন।
মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনার একটা রাস্তা বের করার চেষ্টা চলছে। কী সেই রাস্তা? নিউজ 18 বাংলার খবরের সূত্র বলছে, যে চুক্তিপত্রে সই নিয়ে যাবতীয় জটিলতার সূত্রপাত, সেই চুক্তিপত্রের কয়েকটি ক্লজ নিয়ে যাবতীয় আলোচনা শুরু হয়েছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে চুক্তিপত্রের সেই ক্লজটিকে যেখানে উল্লেখ রয়েছে চুক্তি ভেঙে গেলেও ক্লাবের লোগো, স্বত্ব থাকবে বিনিয়োগকারীদের কাছে। এবং সেই স্বত্ব তারা তৃতীয় পক্ষকে হস্তান্তর করতে কোনো বাধা থাকবে না ক্লাবের দিক থেকে। এই শর্ত যে শতবর্ষ পেরোনো ক্লাবের পক্ষে অস্বস্তিকর, সেটাই মূলত বোঝানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষকে।
advertisement
মাঝের অচলাবস্থা থেকে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। দুই পক্ষই তুলনায় নমনীয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যস্থতাকারীর বক্তব্য, "দুই পক্ষই কম-বেশি নমনীয় হলে তবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে শেষ কথা বলার সময় এখনও আসেনি। শেষ চেষ্টা জারি রয়েছে।" চেষ্টা চলছে, এটাই লক্ষ লক্ষ লাল হলুদ সমর্থকদের সব থেকে বড় প্রাপ্তি এই মুহূর্তে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ! সে তো থাকবেই! ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান যে বাঙালির আবেগ! বাঙালির রক্তে। কিন্তু এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি জরুরি যে টা, সেটা সমাধান সূত্র বেরোনোর।