TRENDING:

ফুটবলারদের টিফিন বানাতেন নিজে হাতে , দেখুন মমতার অজানা ফুটবলপ্রেম

Last Updated:

ফুটবলারদের টিফিন কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না কালীঘাট ক্লাবের । মা নিজেই রান্না করতেন। হাত লাগাত মমতা। কখনও ছোলা গুড়, কখনও ভেজিটেবিল স্টু করে সাইকেলের পেছনে বেঁধে দিত

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ফুটবলপ্রেম মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে
ফুটবলপ্রেম মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে
advertisement

নিজের দাদা অজিত বন্দোপাধ্যায় (ময়দানের ষষ্ঠীদা) বলছিলেন,"একটা সময় ছিল যখন কালীঘাট মিলন সংঘ অ্যাল্যান লিগে খেলত। অর্থাৎ এখনকার দিনে যেমন পঞ্চম ডিভিশন বি। তখন ফুটবলারদের টিফিন কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না আমাদের। মা নিজেই রান্না করতেন। হাত লাগাত মমতা। কখনও ছোলা গুড়, কখনও ভেজিটেবিল স্টু করে সাইকেলের পেছনে বেঁধে দিত। উৎসাহ নিয়েই এই কাজ করত। কখনও বিরক্ত হতে দেখিনি "।

advertisement

অজিত বাবু মনে করেন ছোটবেলার ওই ফুটবল প্রেম আজও অটুট রয়েছে তাঁর ছোট বোনের। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর তিন প্রধান তো বটেই, ৫০ লাখ করে অর্থ সাহায্য করেছিলেন ছোট ক্লাবগুলোকে। ফুটবল অ্যাকাডেমি গড়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন।যুবভারতী স্টেডিয়ামকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয় অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আগে। বিদেশি দলের ফুটবলার, কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট যা দেখে সার্টিফিকেট দিয়ে গিয়েছিলেন। অতীতে রাজ্যের ক্রীড়া এবং যুব কল্যাণ মিলিয়ে বাজেট ছিল ৩০ কোটির মতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর সেই বাজেট প্রায় ৭০০ কোটির কাছে।

advertisement

অজিত বাবু বলেন তিনি নিজে ছোট ক্লাব করে এসেছেন বলেই জানেন কত রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ক্রিকেটের মতো টাকা নেই ফুটবলে। যাঁরা ফুটবল চালান শুধুমাত্র নিজেদের ভালোবাসা থেকেই করে থাকেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ফুটবলের অবস্থা সব সময় অনুভব করেন। তাই বিভিন্ন ক্লাবকে টাকা দেওয়া নিয়ে সমালোচনা হলেও, তিনি পাত্তা দেননি। খেলাধুলার জগতে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি। পি কে বন্দোপাধ্যায় থেকে চুনী গোস্বামীর মতো কিংবদন্তিদের চিকিৎসার খরচ বহন করেছে রাজ্য সরকার।

advertisement

তবে একটা সময় নৈতিকতার প্রশ্নে কালীঘাট মিলন সংঘকে টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। পারিবারিক ক্লাব বলেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কালীঘাট মিলন সংঘ শুধু কলকাতা লিগ নয়, খেলেছে আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনেও। নয়ের দশক থেকে রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণেই খুব বেশি সময় দিতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দাদার সঙ্গে দেখা হলেই খোঁজ নেন ক্লাবের। তাই আবার  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর খুশি বাংলার ক্রীড়ামহল।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
ফুটবলারদের টিফিন বানাতেন নিজে হাতে , দেখুন মমতার অজানা ফুটবলপ্রেম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল