ইস্তানবুলে ফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয় ব্রিটেনের সঙ্গে তুরস্কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায়। তুরস্ককে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তাই ইস্তানবুল থেকে ফাইনাল সরিয়ে না নিয়ে উপায় ছিল না। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনাল হবে। কিন্তু তারপর কোন অজানা কারণে তা হল না জানা নেই। আসলে এখানেই মিলিত হয়েছে ব্রিটিশ চাতুর্য এবং ফিফার নির্লজ্জতা।
advertisement
ব্রিটিশরা নিজেদের দেশকে সুরক্ষিত রেখে পর্তুগালের একটি শহরকে করোনা আবহে ফের ঝুঁকির মুখে' ঠেলে দিল। ফুটবল মাঠ থেকে কী পরিমাণ ভাইরাস ছড়িয়েছে তা কারও অজানা নয়। ভ্যালেন্সিয়া বনাম আটলান্টা ম্যাচ সকলের স্মৃতিতে আজও টাটকা। এসব জেনেশুনেও পর্তুগালের শহরে প্রায় ১৫ হাজার দর্শক নিয়ে ফাইনাল করা জেনেশুনে মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানোর শামিল।
উয়েফার সভাপতিকে দিয়ে তৈরি করানো চিঠি মানুষকে বোকা বানানোর জন্য বুদ্ধি করে ব্যবহার করেছে ব্রিটিশরা। পোর্তো শহর বেঁচে থাকে ট্যুরিজিমের ওপর। করোনার প্রকোপে ব্যবসা মন্দা চলছে বহুদিন। তাই আর উপায় কী? চুপচাপ টাকা নিয়ে মুখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া ছাড়া ? পাতি বাংলায় বলতে গেলে দুর্বলের দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া ছাড়া আর কোনওভাবেই একে ব্যাখ্যা করা যায় না।
ব্রিটিশরা যুক্তি দিতে পারে ইউরোপে এখন ভাইরাসের প্রকোপ কম। কিন্তু ফুটবল মাঠ যে সুপার স্প্রেডার, সে কথা অস্বীকার করা যায় কী করে ? প্রাণের চেয়ে খেলা বড়। মানুষের জীবনের মূল্য এদের কাছে ড্র হওয়া ম্যাচের মতো। নিজের দেশের দুটো ক্লাব নিজের দেশে না খেলে অন্য দেশে খেলছে, আর সাজানো খেলা বসে বসে ব্রিটিশরা উপভোগ করছে, এটা বোধহয় ব্রিটিশ ছাড়া সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে এই ফাইনালের জন্য যদি আবার মারণ ভাইরাস মাথাচাড়া দেয় তাহলে কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এবং ফিফার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।