জার্মান ফুটবল সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে নতুন আপডেট দিয়েছে। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছে দীর্ঘ সভার পর উয়েফা বুঝতে পেরেছে ওই আর্মব্যান্ড লাগানোর মানে কী। তাঁরা আর কোনও তদন্ত করবে না নিশ্চিত করেছে। জার্মান অধিনায়ক ওই ব্যান্ড লাগিয়েই মাঠে নামতে পারবেন। আসলে ওই ব্যান্ড এক ধরনের প্রতিবাদ। হাঙ্গেরিতে যখন গ্যালারি থেকে বর্ণবৈষম্যমূলক ব্যানার এবং সমকামিতার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা হয়েছে, তখন সবার সমান অধিকারের পক্ষে সওয়াল তুলেছে জার্মানি।
advertisement
রামধনু রং দিয়ে বৈচিত্র, সহনশীলতা ঐক্য এবং ক্ষমা-প্রদর্শন বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মাঠের ভেতর জার্মানি যেমন একটা দল হয়ে ফুটবল খেলে, তেমনই মাঠের বাইরে সব মানুষের এই পৃথিবীতে সমান অধিকার সেই বার্তা দিতে চায় তাঁরা। সমকামিতা কোনও অপরাধ নয় মনে করে তাঁরা। একই সঙ্গে বর্ণবৈষম্যের কোনও জায়গা নেই আজকের পৃথিবীতে সেটাও মনে করিয়ে দিতে চান জার্মান ফুটবল অধিনায়ক। ওই আর্মব্যান্ড ঐক্যের' বার্তা বহন করে।
এদিকে জার্মান কোচ জোয়াকিম লো স্পষ্ট জানিয়েছেন পর্তুগাল ম্যাচ অতীত। সামনে হাঙ্গেরি ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন তিনি। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়াকু ফুটবল খেলে ড্র করেছে হাঙ্গেরি। জার্মানরা নিজেদের মাঠে খেললেও, হাঙ্গেরিকে হারানো কেক কাটার মতো সহজ হবে না জানেন লো। এদিকে মিউনিখ শহরের মেয়র উয়েফার কাছে আবেদন করেছেন ম্যাচের দিন অ্যালিয়াঞ্জ এরিনা রামধনু রঙে রাঙাতে চান তাঁরা। হাঙ্গেরির মনোভাবের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ তুলে ধরতে চায় জার্মানি। তবে অনুমতি পাওয়া যাবে কিনা বলা যাচ্ছে না।