উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইউরো কাপে শেষ সাফল্যের মুখ দেখেছিল তারা। সেই দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে রবিবার মাঠে নামবেন সের্গিও বুস্কেতস। বাকিদের ঝুলিতে খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। তবে সদ্য ইউরো জয়ী ইতালিকে সেমি-ফাইনালে হারানোর পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কোচ লুইস এনরিকে। পক্ষান্তরে, ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের সাফল্য ধরে রেখেই রবিবার উয়েফা নেশনস লিগ ঘরে তুলতে মরিয়া দিদিয়ের দেশঁর দল।
advertisement
টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালের আগে খুব একটা ছন্দে ছিল না ফ্রান্স। গত ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়ের মুখ দেখেছিল দেশঁ-ব্রিগেড। গত ম্যাচে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দু’গোল হজম করেন গ্রিজম্যান-এমবাপেরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত কামব্যাক তাঁদের ফাইনালে তোলে। ফাইনালে স্পেনের পাসিং ফুটবল রুখতে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে পোগবাদের।
দেশঁর কথায়, ‘গত কয়েক মাস দল আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। তবে এই টুর্নামেন্টে ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম।’ অতীতে দু’দলের সাক্ষাতে ফ্রান্সকে টেক্কা দিয়েছে স্পেন। ৩৫ বারের সাক্ষাতে ১৬ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্প্যানিশ আর্মাডা। পক্ষান্তরে, ১২ বার শেষ হাসি হেসেছে ফ্রান্স। তবে নেশনস লিগের ফাইনালের আগে এই পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্পেন কোচ লুইস এনরিকে।
তাঁর মন্তব্য, ‘ইউরো কাপে সেমি-ফাইনালে ভালে খেলেও টাই-ব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। তবে নেশনস লিগে ছেলেরা দারুণ ছন্দে রয়েছে। ইতালির বিরুদ্ধে জয়টা তারই প্রমাণ। যে কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালের গুরুত্ব আলাদা। তার উপর প্রতিপক্ষ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাই লড়াইটা মোটেই সহজ হবে না।’
ফ্রান্সের ফরওয়ার্ড লাইনে করিম বেঞ্জেমা, কীলিয়ান এম্বাপে, গ্রিজম্যানের মত তারকা আছে। সেখানে তরুণ ফুটবলার ফেরান তোরেস, সারাবিয়া, ওয়ারজাবালদের ওপর ভরসা স্প্যানিশদের। দুই ইউরোপিয়ান ফুটবল পাওয়ার হাউজের লড়াইয়ে কে কাকে টেক্কা দেয়, সেটাই দেখার।
স্পেন বনাম ফ্রান্স
আজ রাত - ১২:১৫