শুভকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখে সুযোগ পাওয়ার জন্য শুভ পালকে আমার হৃদয়ভরা শুভেচ্ছা। মাত্র ১৭ বছরেই বিশ্বকে শুভ দেখিয়েছে, বাংলার ফুটবলের অর্থ কী, ফুটবল যেখানে শুধু খেলা নয়, একটা আবেগ। দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত।'
বাবা গেঞ্জি কারখানায় কাজ করে। যে শুভ একসময় ফুটবলের বুট কেনার স্বপ্ন দেখতেও ভয় পেত, সেই আর কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেবে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে। বায়ার্ন মিউনিখে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিভাবান ফুটবলারদের ট্রায়ালে ডাকা হবে, এটা জানার পর থেকেই পরিশ্রমের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শুভ। ঘষেমেজে ঠিক করছিলেন নিজের দূর্বল জায়গা গুলো। এর ফলও মিললো হাতে-নাতে। সারা বিশ্বের সাড়ে ছশোরও বেশি ফুটবলারদের ফুটবল স্কিল ও স্টামিনার মধ্যে থেকে প্রথম ১৫-তে স্থান হয় হাওড়ার সলকিয়ার এই যুব প্রতিভার।
advertisement
২০১৬ সালে বেঙ্গালুরু এফসির অনুর্ধ ১৩ দলে ডাক পেলেও শেষমেশ তা সম্ভব হয়ি। পরের বছর ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লির সুদেবা এফসির অনূর্ধ্ব ১৩ দলে ট্রায়াল দিয়ে দুটি ক্লাবেই সুযোগ পান শুভ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেছে নেয় নেয় সুদেবা এফসিকেই। এরপরই ফুটে উঠতে থাকে তার প্রতিভা। ২০১৯-২০ মরশুমে AIFF লিগে ১৪ টি গোল করে আলোড়ন ফেলে দেয়। এই মরশুমে ডাক পায় আই লিগের সুদেবা এফসির বড়োদের দলে। মোট আটটি ম্যাচ খেলে দু টি গোল করে আইলিগের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোল স্কোরার হিসেবে নজিরও স্থাপন করে শুভ। চলতে থাকে তার স্বপ্নের দৌড়। যা বিরাট মাত্রা পেল শেষমেশ। সালকিয়ার শুভ এখন দৌড়ে বেড়াবে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে।