ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো- গতবার পর্তুগাল ইউরো কাপ জিতেছিল। ফাইনালে অবশ্য রোনাল্ডো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার পরও সাইডলাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের উজ্জীবিত করেছিলেন তিনি। রোনাল্ডোর ইউরোতে গোল সংখ্যা ৯টি। মিশেল প্লাতিনির সঙ্গে এখন তিনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। অর্থাত্, রোনাল্ডো আর একটা গোল করলেই ইউরোতে সর্বোচ্চ গোলদাতা। রোনাল্ডোর এখন বয়স ৩৬। পরেরবার ইউরোর সময় তাঁর বয়স হবে ৪০। ফলে পরেরবার তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে তাঁর হয়তো আর আফসোস থাকবে না। কারণ দেশের জার্সিতে তিনি ইউরো জিতে ফেলেছেন।
advertisement
ম্যানুয়েল নুয়ের- গোলকিপার হলেও তিনি জার্মানিকে সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তিন কাঠির নিচে তিনি থাকলে যে কোনও স্ট্রাইকারের সামনে গোল করাটা চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায়। ৩৫ বছরের নুয়ের ইতিমধ্যে দেশের জার্সিতে গোলকিপার হিসাবে ১০০টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার থেকে শুরু করে গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী, কেরিয়ারে কোনও পুরস্কার জয়ই যেন বাকি রাখেননি তিনি। তবে পরের ইউরোতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম।
লুকা মদ্রিচ- বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছিল তাঁর দল। তিনি নিজেও ব্যালন ডি অর জিতেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তাঁর সাফল্যের শেষ নেই। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এখনও তিনি বড় সাফল্যের আশায়। ২০০৬ থেকে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলছেন। এখন তাঁর বয়স ৩৫। পরের ইউরোতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কিন্তু কম।
জর্জিও চেলিনি- ইতালি মানেই শক্তপোক্ত ডিফেন্স। আর সেই ডিফেন্স আরও বেশি দূর্ভেদ্য করেছেন চেলিনি। তাঁর মতো সেন্টার ব্যাক ইতালি দলের সম্পদ। ৩৬ বছরের চেলিনি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, ইউরোর পরই তিনি বুটজোড়া তুলে রাখবেন। তবে এখনও ইতালির জার্সিতে বড় কোনও টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। তাই এবার ইতালির হয়ে তিনি ইউরো জয়ের স্বপ্ন দেখছেন নিশ্চয়ই।
থমাস মুলার- বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মানি, দুই দলেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। গোল করা ও করানো, দুই ক্ষেত্রেই তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তাঁর বয়স অবশ্য মাত্র ৩১। তবে এটাই হয়তো তাঁর শেষ ইউরো। কারণ জার্মানির রিজার্ভ বেঞ্চে একের পর এক প্রতিভা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে প্রস্তুত।
গ্যারেথ বেল- ইউরোপিয়ান ফুটবলে গুঞ্জন, ইউরোর পরই অবসর নেবেন বেল। তবে বেলের এজেন্ট এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। বেলের বয়স এখন ৩১। তবে চোট-আঘাতে জেরবার তিনি। তাই ওয়েলসের হয়ে হয়তো এটাই তাঁর শেষ ইউরো।
পেপে- ৩৮ বছর বয়স তাঁর। পরের ইউরোতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গত ইউরোতে পর্তুগালকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
রবার্ট লেওয়ানডস্কি- এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ৩২ বছরের লেওয়ানডস্কি পোল্যান্ডের অন্যতম ভরসা। বায়ার্নের হয়ে বুন্দেশলিগায় ৪০টি গোল করে ইতিমধ্যে গার্ড মুলারের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এবার জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর ক্যারিশ্মা দেখানোর পালা।
সার্জিও বুস্কেটস- ইউরো শুরুর আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন স্পেনের ক্যাপ্টেন। আপাতত তিনি কোয়ারেন্টাইনে। তার মাত্র ৩২ বছর বয়স। তবে স্প্যানিশ ফুটবলে প্রতিভার অভাব নেই। তাই পরের ইউরোতে বুস্কেটসকে আর দেখা নাও যেতে পারে।
করিম বেনজেমা- রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড লাইনের অন্যতম ভরসা। তবে ব্যক্তিগত জীবনের একটি কেচ্ছা তাঁর জাতীয় দলের হয়ে খেলায় প্রভাব ফেলে। তবে এবার ফ্রান্সের হয়ে তাঁকে দেখা যাবে। পরেরবার হয়তো আর খেলবেন না বেনজেমা।