ক্লাব সূত্রে খবর, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি জট কাটাতে আসরে নামতে পারে রাজ্যের দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপি ও সিপিএম। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পক্ষ থেকে ক্লাবে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার জন্য বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। সাবেকি ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে বেশ কয়েক দফায় কথাবার্তাও হয়েছে। লাল হলুদ কর্তারাও চুক্তি জট কাটাতে নবান্ন থেকে কোনও রকম সদর্থক ও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় কী না, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাহায্য নেওয়ার বিষয়ে তাই 'ধীরে চলো' নীতিতেই এগোচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও। ইতিমধ্যেই সাবেকি ক্লাবকর্তাদের থেকে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে চুক্তি জট ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে! এই বিষয়ে নিয়মিত তথ্য নিচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য।
advertisement
শুধুমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি নয়, ঘোলা জলে মাছ ধরতে পিছিয়ে নেই সিপিএম, আরএসপি সহ বামফ্রন্টের শরিক দলগুলো। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী ইস্টবেঙ্গলের সদস্যও বটে। বর্তমানে বিনিয়োগকারী বনাম ক্লাবের সমস্যা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে সে বিষয়ে নজর রাখছেন যাদবপুর কেন্দ্র প্রাক্তন বিধায়ক। এই বিষয়ে ক্লাবের কর্তাদের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে রাজ্য সিপিএম।
পরিস্থিতি যা, তাতে আপাতদৃষ্টিতে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি সমস্যা আপাতদৃষ্টিতে সোজা পথে মেটার নয়। বরং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে লাল হলুদের সমস্যা আইনি পথে গড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। তবে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গলের সাবেকি কর্তারা নন, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ।