পুরানো আধিপত্য কী ফেরাতে পারবে স্পেন? লাখ টাকার প্রশ্ন। কিন্তু উত্তরটা অজানা। ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দু’বার ইউরো এবং একবার বিশ্বকাপ (২০১০) জিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল লা রোহা ব্রিগেড। কিন্তু সেসব অতীত। ২০১২ সালে ইউরো জয়ের পর বড় কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে প্রি-কোয়ার্টারের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি তারা। তবে এবার সেই পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই ইউরোর মঞ্চে নামছে লুইস এনরিকের দল।
advertisement
সোমবার গ্রুপের প্রথম ম্যাচে স্পেনের প্রতিপক্ষ সুইডেন। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করাই পাখির চোখ স্প্যানিশদের। তবে খুব একটা স্বস্তিতে নেই তারা। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অধিনায়ক সের্গিও বুস্কেতস। মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন ডিয়েগো লোরেন্তেও। যার ফলে একটা সময় গোটা দলকেই থাকতে হয়েছে আইসোলেশনে। স্প্যানিশ শিবিরে এখনও সেই আতঙ্কের ছায়া। যদিও সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে সেরা ছন্দ মেলে ধরার ব্যাপারে আশাবাদী কোচ এনরিকে।
শক্তির বিচারে সোমবার অনেকটাই এগিয়ে স্পেন। দলে একাধিক ফুটবলার রয়েছে, যারা ব্যক্তিগত নৈপুন্যে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। সত্যি কথা বলতে বর্তমান স্পেন দলে গোল করার লোকের অভাব। মোরাতা, ফেরান তোরেস, সারাবিয়ারা একক কৃতিত্বে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স তছনছ করে গোল করার ক্ষমতা রাখেন না। বিশেষ করে সুইডেনের মত শারীরিকভাবে শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে স্প্যানিশরা চাপে পড়তে পারে।
মিডফিল্ডে অবশ্য অভিজ্ঞতা আছে। কোকে, থিয়াগো, রদ্রি যথেষ্ট প্রতিভাবান। তবে একটা ব্যাপারে চাপ থাকবে কোচ এনরিকের ওপর। এই প্রথম স্প্যানিশ দল নির্বাচিত হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের কোনও ফুটবলার ছাড়াই। রামোস, ইসকো, আসেন্সিও, কর্ভাহালদের সুযোগ দেননি এনরিকে।
তাই ব্যর্থ হলে বিশাল সমালোচনা অপেক্ষা করছে প্রাক্তন বার্সা কোচের জন্য। সুইডেন অবশ্য দলের নির্ভরযোগ্য দুই ফুটবলারকে পাচ্ছে না। দুই দলের শেষ দুবারের সাক্ষাতে একবার স্পেন জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে। অন্যবার ১-১ ড্র হয়েছিল। আজ রাতে তাই স্প্যানিশদের লড়াইটা মোটেই সহজ হবে না সেটা গ্যারান্টেড।
স্পেন বনাম সুইডেন
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় - আজ রাত ১২:৩০