রিয়াল মাদ্রিদ এবং জুভেন্টাসে খেলা স্ট্রাইকার নিজের সেরা ছন্দে নেই। গোলের সামনে কেমন যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাচ্ছেন। যদিও পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই এগিয়েছিল দল, কিন্তু কমপক্ষে তিনটি সহজ সুযোগ হারান তিনি। এই পর্যায়ের ফুটবলে যা ক্ষমার অযোগ্য। তাঁকে বসানোর দাবি উঠেছে স্প্যানিশ মিডিয়ায়। কিন্তু কিছু করার নেই কোচ এনরিকের। সবেধন নীলমণি এক স্ট্রাইকার ওই মোরাতাই।
advertisement
জেরার্ড মোরেনো আগেরদিন প্রথম সুযোগ পেয়ে খারাপ খেলেননি। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন। ফেরান তোরেস অতীতে উদীয়মান স্কোরার হিসেবে উজ্জ্বল হলেও এই টুর্নামেন্টে কিছুই করতে পারেননি। মিডফিল্ড অবশ্য যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করছে। কোকে, রদ্রী, পেড্রিরা বলের দখল নিজেদের কাছে রেখে আক্রমণ করছেন। কিন্তু সমস্যা গোল করার লোক নেই।
ইউরো কাপের দল বাছার সময় অভিজ্ঞ সের্জিও রামোস সহ রিয়েল মাদ্রিদের কোনও ফুটবলারকে দলে নেননি এনরিকে। ইসকো, আসেনসিও, লুকাসদের মত আক্রমনাত্মক মানসিকতার ফুটবলারদের কেন দলে নেওয়া হয়নি এই নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তোলা হচ্ছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে। এনরিকে অবশ্য হাল ছাড়ছেন না। নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থাকলেও স্লোভাকিয়াকে হারালে শেষ ১৬ তে উঠে যাবে স্পেন।
কিন্তু স্লোভাক ফুটবলাররা স্পেনকে আটকাতে একই পদ্ধতি নিতে পারে। জোরদার ডিফেন্স তছনছ করে দেওয়ার ক্ষমতা নেই স্প্যানিশ স্ট্রাইকারদের। অতীতের ফার্নান্দো তোরেস এবং ডেভিড ভিয়ার অর্ধেকও নন এই দলের স্ট্রাইকাররা। সব মিলিয়ে স্পেনের পরিস্থিতি ভাল নয়। এনরিকে বুঝতে পারছেন তাঁর মাথার ওপর খাঁড়া ঝুলছে। স্লোভাকিয়া ম্যাচ হতে চলেছে তাঁর এবং স্পেনের অ্যাসিড টেস্ট।