গত দু’টি ম্যাচের মতো এদিনও ফুটবলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলান কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজ। প্রথমার্ধে রক্ষণে টমিস্লাভ, আদিল খান, রাজু গায়কোয়াড ও হীরা মণ্ডলকে খেলান তিনি। মাঝমাঠে শুরু করেন সৌরভ দাস, আঙ্গুসানা, নাওরেম মহেশ ও বিকাশ জাইরু। আর আক্রমণে আন্তোনিও পেরোসেভিচের সঙ্গী ছিলেন বলবন্ত সিং। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় বেশ মন্থর দেখায় পঞ্জাবি স্ট্রাইকারটিকে। ম্যাচের ৪০ মিনিটে কর্নার থেকে বিকাশ জাইরুর ক্রস থেকে লক্ষ্যভেদ বলবন্তের।
advertisement
আর প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে পেরোসেভিচের পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান আঙ্গুসানা। লাল-হলুদ আক্রমণভাগে নজর কাড়লেন ক্রোট অ্যাটাকারটি। দ্বিতীয়ার্ধে দলে ন’টি পরিবর্তন করেন লাল-হলুদ কোচ। ৭১ মিনিটে এক গোল হজম করে লাল-হলুদ ডিফেন্স। যদিও তা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন দলের আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা ড্যানিয়েল চিমা। ম্যাচ শেষে এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার জানান, ‘প্রস্তুতি ম্যাচে আরও একটা জয়। দল দারুণ ছন্দে রয়েছে। তবে উন্নতির অবকাশ অবশ্যই রয়েছে।’
চিমা দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন তাড়াতাড়ি সেটা বোঝা গিয়েছে তার নাড়াচাড়া দেখে। বক্সের ভেতর যথেষ্ট কার্যকরী তিনি। জায়গা নেওয়া, দ্রুত শট নেওয়া বা রফিকদের উদ্দেশ্যে পাস বাড়ানো থেকে শুরু করে বেশ ছন্দেই লেগেছে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারকে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা আর আইএসএলে পারফর্ম করা দুটো এক জিনিস নয়।
তবুও দলের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে প্রস্তুতি ম্যাচের বিকল্প হয় না। স্প্যানিশ ম্যানেজার ম্যানুয়াল ডিয়াজ আগেই জানিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য তিনি ডার্বি জিততে চান। এই ম্যাচটার গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। গতবার দুটো সাক্ষাতেই হারতে হয়েছিল লাল হলুদকে। তাই এবার সম্মানের ম্যাচে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চান লাল হলুদের স্প্যানিশ ম্যানেজার।