আপ্লুত বঙ্গ গোলরক্ষক বললেন, যে কোনও দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পাওয়া গর্বের। এসসি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছি বলে আমি ও আমার পরিবারের সকলেই গর্বিত। যোগ করেছেন, অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা আমাদের দলের একাধিক ফুটবলারের রয়েছে। আমি সৌভাগ্যবান, শেষ পর্যন্ত আমিই সেই দায়িত্ব পেলাম। সবুজ-মেরুনের হয়ে গত মরসুমে আইএসএলে ২৩টি ম্যাচে ৫৯টি গোল বাঁচিয়েছেন অরিন্দম। গোল খেয়েছেন ১৯টি। একটিও গোল না খেয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন ১০টি।
advertisement
এ বার লাল-হলুদের অন্যতম ভরসা তিনি। সমর্থকদের প্রত্যাশাকে অবশ্য বাড়তি চাপ বলে মনে করছেন না অরিন্দম। তাঁর কথায়, আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। এরকম ঐতিহ্যশালী ক্লাবের সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবেই। আমি তা উপভোগই করি। আমরা এটাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছি। অষ্টম আইএসএলে লাল-হলুদের প্রথম ম্যাচ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ২১ নভেম্বর। দল কতটা তৈরি?
অরিন্দম বললেন, আমরা তৈরি। যে কোনও প্রতিযোগিতায় শুরুটা ভাল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলের সকলেই মুখিয়ে রয়েছে সাফল্য পাওয়ার জন্য। আমাদের কোচও অসাধারণ। এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেও সবুজ-মেরুনের গোলরক্ষক কোচ অ্যাঙ্খেল পিনাদাদোর অবদান ভোলেননি অরিন্দম। বললেন, অ্যাঙ্খেলই আমাকে বদলে দিয়েছেন। ওঁর অবদান কখনও ভুলব না। বিভিন্ন প্রতিপক্ষ নিয়ে ক্লাস হয়েছে স্প্যানিশ কোচের। আধুনিক ফুটবলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার প্রতিপক্ষ বুঝে ছক তৈরি করা।
অরিন্দম মনে করেন তাদের নতুন কোচ যতটা ভাল টেকনিক্যাল জ্ঞান সম্পন্ন, ততটাই তিনি ফুটবল নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সাফল্য বা ব্যর্থতা সময় বলবে। কিন্তু তিনি আশাবাদী গতবারের ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিয়ে নতুন সাফল্য এনে দিতে পারবেন ইস্টবেঙ্গলকে। সিনিয়র ফুটবলার হিসেবে জুনিয়রদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন। ড্রেসিং রুমে খোলামেলা পরিস্থিতি। ফিল গুড ফ্যাক্টর ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্য এনে দেয় কিনা সেটাই দেখার।