মিউনিখের আলিয়ান্স এরিনায় যেন সেই অপমানের বদলা নিলেন তরুণ জার্মান তারকা। রোনাল্ডোর পর্তুগালকে জার্মানির ৪ গোল দেওয়ার ম্যাচে তাঁর অবদান রয়েছে তিনটি গোলের পেছনে। প্রথম গোলটা অফসাইড না হলে লজ্জা বেড়ে যেত পর্তুগালের। পর্তুগাল যে দুটো আত্মঘাতী গোল হজম করেছে দুটোর শুরু হয়েছিল গোসেনের পা থেকে। পর্তুগালের রাইটব্যাক প্রাক্তন বার্সেলোনা ফুটবলার নেলসন সেমেদোকে নিয়ে কার্যত গোটা ম্যাচে ছেলেখেলা করলেন আটলান্টার এই ফুটবলার।
advertisement
বাঁদিক দিয়ে ঝড় তুলে দিলেন। ৬০ মিনিটে উঠে যাওয়ার আগে হেডে গোল করে পর্তুগালের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিলেন। এরপর নিশ্চয়ই তাঁর নাম মনে রাখবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যেভাবে খেললেন তাতে পুরো সময় মাঠে থাকলে পর্তুগালের ভাগ্যে হয়তো আরও দুঃখ ছিল। প্রথম ম্যাচে হেরে সমালোচনা হয়েছিল জার্মানির। এদিন বড় ব্যবধানে জিতে নিন্দুকদের জবাব দিল জার্মানরা।
যে কোনও টুর্ণামেন্টে জার্মানদের যে হিসেবের বাইরে রাখা যায় না তা আজ আবার প্রমাণিত। সমান নজর কাড়লেন জার্মানির ভবিষ্যতের সুপারস্টার কাই হ্যাভারটজ। এই দুই তরুণ তারকা আগামীদিনে জার্মান ফুটবলের ভবিষ্যৎ তাতে সন্দেহ নেই। রবিন নিজে অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে রোনাল্ডোকে পছন্দ করেন। এদিন তিনি মাঠ ছাড়ার সময় উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান জার্মান সমর্থকরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে থমাস মুলার প্রশংসা করেন তাঁর। গোসেনস জানান এই দিন তিনি ভুলতে পারবেন না। স্বপ্ন ছিল ইউরো কাপে অংশগ্রহণ করার। সেখানে গোল করে দলকে জেতাছেন, এটা তাঁর কাছে বাড়তি পাওনা। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান।