গতানুগতিক রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি থেকে বেরিয়ে শুক্রবার এক অন্য ইতালিকে দেখল ফুটবল বিশ্ব। ধারে ও ভারে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা তুরস্কের বিরুদ্ধে অবশ্য প্রথমার্ধে আজ্জুরিদের খেলা দেখে কেউ ভাবতে পারেনি, ম্যাচের ফল এরকম হতে পারে। তবে বিরতির পর কার্যত প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করলেন বারেল্লা, বোনুচ্চিরা। ইতালির হয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন যথাক্রমে সিরো ইম্মোবাইল ও লরেঞ্জো ইনসিগনে। অপর গোলটি ডেমিরালের আত্মঘাতী। রাশিয়া বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার ব্যর্থতা এখন অতীত ইতালির কাছে।
advertisement
ফের একবার বিশ্ব ফুটবল আঙিনায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লক্ষ্যে অবিচল তাঁরা। উল্লেখ্য, টানা ২৭টি ম্যাচ অপরাজিত থেকে শুক্রবার মাঠে নেমেছিল ইতালি। প্রথম ম্যাচেই বড় জয় দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি কোচ মানচিনি। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, ‘রক্ষণ, মাঝমাঠ এবং আপফ্রন্ট-প্রতিটি বিভাগেই পরিকল্পিত ফুটবল উপহার দিয়েছে ছেলেরা। প্রথম ম্যাচে জয় পেলে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এই ছন্দ আগামী ম্যাচগুলিতে ধরে রাখতে হবে।’ ক্লাব ফুটবলে গত মরশুমটা দারুণ কেটেছে ইম্মোবাইলের। এবার দেশের জার্সিতেও সেই ধারা অক্ষুণ্ণ রাখলেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকারটি।
আসলে মানচিনি বরাবর কম কথা বলতে পছন্দ করেন। ব্রাজিলের পর জার্মানি ছাড়া চারটা বিশ্বকাপ জেতার নজির ইতালি ছাড়া আর কারও নেই। সেই দল শেষ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এই জ্বালাটাই কাজে লাগাতে চাইছেন বর্তমান কোচ। ইতিহাস, রেকর্ড এবং ফুটবল ঐতিহ্যের ব্যাপারে ইতালির জুড়ি মেলা ভার। মুখে নয়, মাঠেই ফুটবল ক্রুসেড করে দেখাতে চায় আজুরি ব্রিগেড।