( মোরাতা)
পোল্যান্ড - ১
(লেওয়ান্ডোস্কি)
#সেভিয়া: প্রথম ম্যাচে সুইডেনের বিরুদ্ধে নজরকাড়া ফুটবল খেলে জিততে পারেনি স্পেন। ড্র হয়েছিল ম্যাচ। শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাই যেকোনও মূল্যে জয় চেয়েছিল স্পেন। দলে একটি পরিবর্তন করেছিলেন কোচ লুইস এনরিকে। ফেরান তোরেসকে প্রথম দলে না রেখে প্রথম থেকেই নামিয়েছিলেন জেরার্ড মোরেনোকে। তাতে লাভ হয়েছিল স্পেনের। ২৫ মিনিটের মাথায় এই ফুটবলারটির পাস থেকেই স্পেনকে এগিয়ে দেন আলভারো মোরাতা।
advertisement
প্রথমে গোল না দিলেও পরে ভিএআর (VAR) পদ্ধতিতে গোল দেন রেফারি। স্পেনের বহুদিনের সমস্যা ম্যাচে যত পরিমাণ বলের দখল তাঁরা নিজেদের কাছে রাখে, সেই তুলনায় কিন্তু গোলসংখ্যা বাড়াতে পারে না তাঁরা। যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাব বহুদিন। ডেভিড ভিয়া এবং ফার্নান্দো তোরেস অবসর নেওয়ার পর সেই মানের স্ট্রাইকার আসেনি স্পেন দলে। বিরতির দশ মিনিট পরেই ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে পোল্যান্ড। ডানদিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন রবার্ট লেওয়ান্ডোস্কি।
স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমন চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি। এরপর ফেরান তোরেস এবং ফ্যাবিয়ান রুইজকে নামান এনরিকে। পেনাল্টি পায় স্পেন। নিজেই পেনাল্টি আদায় করে আবার মিস করেন মরেনা। ফিরতি বল গোলে ঠেলতে পারেননি আলভারো মোরাতা। দুর্দান্ত খেললেন পোল্যান্ড গোলরক্ষক সেজনি। প্রথম ম্যাচে স্লোভাকিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর এদিন এই ড্রয়ের পর কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাবে পোল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে নিশ্চয়ই হাত কামড়াবেন স্পেনের ম্যানেজার লুইস এনরিকে। প্রায় ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখেও জয়সূচক গোল তুলে নিতে না পারা ব্যর্থতা ছাড়া আর কী ? ফুটবলে গোলই আসল। বল পজিশন রাখার জন্য পয়েন্ট পাওয়া যায় না। এনরিকে এবং তার দল যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝবে ততই ভাল স্পেনের। দুই ম্যাচের পর দুই পয়েন্ট পেয়ে খুব একটা খুশি হবেন না এনরিকে। গ্রুপে তিন নম্বরে রইল স্প্যানিশ আর্মাডা।এমনিতেই রামোস সহ রিয়াল মাদ্রিদ এর কোনও ফুটবলারকে নেননি দলে। তাই তাঁকে জবাব দিতে হবে। শেষ ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হবে স্পেনকে।