হ্যাঁ, মেসি, রোনাল্ডো এবং নেইমার—এমন স্বপ্নের আক্রমণভাগ দেখা যেতে পারে পিএসজিতে। খেলাইফি এর আগে সোজাসাপ্টাই বলেছেন, নেইমার ও মেসিকে নিয়ে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল যেহেতু গড়া হয়েছে, তাই এমবাপ্পে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কোনো অজুহাত দেখাতে পারবেন না। এমবাপ্পের তরফ থেকে এখনো এ নিয়ে কোনো মন্তব্য মেলেনি। এমবাপ্পে যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে না চান, তাহলে তাঁকে বেচে দেবে পিএসজি।
advertisement
শুধু তা–ই নয়, আগামী মরশুমে তাঁর শূন্যতা পূরণের প্রস্তুতিও নিচ্ছে ক্লাবটি। জুভেন্টাস থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে পিএসজি। এমবাপ্পেকে বহু আগে থেকেই কিনতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। ফরাসি ফরোয়ার্ড যদি জুনে ফ্রি এজেন্ট হয়ে রিয়ালে শেষ পর্যন্ত যোগ দেন, আর জুভেন্টাসেও যেহেতু রোনাল্ডো তেমন একটা ভাল নেই, তাঁর দলবদলের ইচ্ছার কথা ভাসছে ইউরোপিয়ান ফুটবলে—এভাবে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে অঙ্কটা কষেছে পিএসজি।
এমবাপ্পে আগামী মরশুম শেষে রিয়ালে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যোগ দেবেন, এটাই মনে করছে স্প্যানিশ এই সংবাদমাধ্যম। পিএসজিও নাকি এ বিষয়ে একমত। এদিকে আগামী ৩০ জুন রোনালদোও ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন জুভেন্টাসে। তখন এমবাপ্পের জায়গায় পর্তুগিজ তারকাকে এনে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে (মেসি-রোনাল্ডো) ক্লাব সতীর্থ বানাতে চায় পিএসজি। দলবদল নিয়েও কোনো পাইপয়সা খরচ হবে না ক্লাবটির। শুধু এক তারকার জায়গায় আসবেন আরেক তারকা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ভাল করে জানেন তার ফুটবল ক্যারিয়ার আর বড় জোর তিন বছর। পিএসজি যে পরিমাণ টাকা তাঁকে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, সেই পরিমাণ অর্থ দিতে পারবে না বিশ্বের অন্য কোন ক্লাব। পাশাপাশি মেসির পাশে খেললে একটা অন্যরকম ব্যাপার তৈরি হবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ফুটবলার শেষদিকে এক ক্লাব থেকে অবসর নেবেন, এমন স্বপ্ন দেখেন পিএসজির মালিক নাসির আল খেলাফি। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগে এই দলবদল হতে পারে।