৪১ মিনিটে বেনজেমার বদলি হিসেবে নামেন অলিভিয়ের জিরু। নেমে কী দারুণ দেখিয়েছেন জিরু! ফ্রান্সের ৩-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত চেলসির ফরোয়ার্ড করেছেন দুই গোল। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও সতীর্থদের দিকে অসহযোগিতার আঙুল তুলেছেন জিরু। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, তাঁর দিকে নাকি সেভাবে পাস বাড়াননি সতীর্থরা। ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ অন্য খেলোয়াড়েরা তাঁর দিকে পাস বাড়াননি বলে জানাচ্ছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম।
advertisement
ইউরো শুরু হতে বাকি আর মাত্র চার দিন, তার আগে এমন অভিযোগ ফ্রান্স দলে বিভেদের গুঞ্জন তুলে দিতে যথেষ্ট। জিরু প্রথম গোলটি পেয়েছেন ৮৩ মিনিটে। পরের গোলটি যোগ হওয়া সময়ে। কিন্তু দু-দুটি গোল পাওয়ার পরও যেন হতাশ এই ফরোয়ার্ড। সতীর্থরা নাকি তাঁকে খুব বেশি বল এগিয়ে দেননি। ফরাসি পত্রিকা ‘লে’কিপ দু সোয়াখ্’-এ বলেছেন, ‘আমি মাঠে অনেকটা সময়ে আড়ালে ছিলাম। কারণ, মাঝেমধ্যেই আমি বলের জন্য দৌড়েছি, কিন্তু বল আমার সামনে আসেনি। আমি বলছি না যে সব সময়ই আমি একেবারে ঠিকঠাকভাবে দৌড়ে জায়গা করে নিতে পারি। কিন্তু আমি সব সময় চেষ্টা করি বক্সের মধ্যে সতীর্থদের জন্য পাস দেওয়ার একটা বিকল্প হতে, গোলের সুযোগ তৈরি করতে।’
কথাগুলো খুব একটা ভালো লাগেনি ফ্রান্স কোচের। গণমাধ্যমে জিরুর দেওয়া সাক্ষাৎকারের একটু পরই সেটার জবাব দিয়েছেন দেশম। ‘তুমি যদি সব সময় সতীর্থদের কাছে বল চাইতেই সেটা পেয়ে যাও, তাহলে আক্রমণগুলো বারবার একই ঢঙের হবে। ব্যাপারগুলো সব সময়ই এমন হয়ে আসছে। আক্রমণভাগের খেলোয়াড় বলে ‘‘আমি তো দৌড়েছি, কিন্তু এখানে দায়টা মিডফিল্ডারদের’’, আবার মিডফিল্ডাররা বলবে, ‘‘দায়টা আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরই।’’
এখানে কখনো ব্যাপারটা হয় পাসের ভুলের, কখনো (আক্রমণভাগের খেলোয়াড়ের) নড়াচড়া করে জায়গা করে নিতে না পারার ভুল। কিন্তু এই দোষটা কিলিয়ান (এমবাপ্পে) বা অন্য কারোরই নয়’ - জিরুর উদ্দেশে দেশমের কথা। এখন দেখার টিম ম্যানেজমেন্ট বুদ্ধি করে এই ব্যপারটা সামলিয়ে নিতে পারে কিনা। নাকি জল অন্যদিকে গড়ায়।