তবে আইএসএলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অধরাই। দু’বার প্লে-অফ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। তবে চলতি মরশুমে কোচ খালিদ জামিলের হাত ধরে নতুন ভোরের অপেক্ষায় নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। এবারের আইএসএলের ১১টি দলের মধ্যে খালিদই একমাত্র ভারতীয় চিফ কোচ। উল্লেখ্য, এই মুম্বইকরের অধীনে প্রথম কোনও পাহাড়ি দল হিসেবে আই লিগ জিতেছিল আইজল এফসি। এবার নর্থ-ইস্টকেও ভারত সেরার তকমা এনে দিতে মরিয়া খালিদ। তাঁর প্রশিক্ষিত দল প্লে-অফে গেলে আইএসএলে ভারতীয় কোচদের কদর বাড়বে।
advertisement
তারকা হতে পারেন : ফেড্রিকো, কামারা, হার্নান সান্তানা, ভিপি সুহের, মির্শাদ, মহম্মদ ইরশাদ, ডেসন ব্রাউন, ম্যাথিয়াস, লালডানমাউয়া রালতে, রোচারজেলা।
প্লাস পয়েন্ট: ভারতীয় ব্রিগেড বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যাননি খালিদ। অতীতে তাঁর অধীনে খেলা একাধিক ফুটবলারকে এবার নিয়েছেন তিনি। গত মরশুমে নর্থ-ইস্টের প্লে-অফে পৌঁছনোর নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ভিপি সুহের, হার্নান সান্তানা, কামরা, ফেড্রিকোর মতো ফুটবলাররা। এবারও তাঁদের দিকেই তাকিয়ে সমর্থকরা। কামরা-ম্যাথিয়াস-ব্রাউনের ত্রিভুজ আক্রমণ প্রতিপক্ষ দলগুলির মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
দুর্বলতা: দলের তারকা ফুটবলারের অনুপস্থিতি। গত মরশুমে নর্থ-ইস্ট জার্সিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফুটবল খেলা আপুইয়া গিয়েছেন মুম্বই সিটিতে। সবুজ-মেরুনে সই করেছেন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতা। দলকে একসূত্রে গাঁথাটাই বড় চ্যালেঞ্জ কোচ খালিদ জামিলের।
খালিদ কী বলছেন: গত কয়েক বছর ধরে নর্থ-ইস্ট দলের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার সমর্থকদের আবেগ আমার কাছে নতুন নয়। গত মরশুমে প্লে-অফে পৌঁছেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। এবার আরও ভালো খেলতে হবে।
ফর্মেশন:৪-২-৩-১
কত দূর যেতে পারে দল : আসন্ন আইএসএলে মুম্বই, গোয়া বেঙ্গালুরু, এটিকে মোহন বাগানের মতো খেতাবের লড়াইয়ে থাকা দলগুলিকে বেগ দেবে নর্থ -ইস্ট। প্লে-অফে যাওয়ার প্রবল দাবিদার। খালিদ জামিল ডিফেন্স শক্ত রেখেই চলতে পছন্দ করেন। সেট পিস কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে তার দল শক্তিশালী।