#কলকাতা: শনিবার লম্বা ভিডিও কনফারেন্সের পর কেটে গিয়েছে বাহাত্তর ঘন্টা। শ্রী সিমেন্ট বনাম ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি জট যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থাতেই রয়েছে। তবে ক্লাব সূত্রে খবর, বল এখন বিনিয়োগকারীদের কোর্টে।
চুক্তি সই ইস্যুতে দুই পক্ষের বিস্তর মতভেদ থাকা সত্ত্বেও মুখোমুখি বসে আলোচনা সম্ভব হয়নি এতদিন। সপ্তাহ শেষের ভিডিও কনফারেন্সে সেটা অন্তত সম্ভব হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের প্রতিনিধিরা।
advertisement
ম্যারাথন ভিডিও কনফারেন্সে দুই পক্ষই খোলাখুলি মত বিনিময় করেন। ক্লাবের পক্ষ থেকে শ্রী সিমেন্টের প্রতিনিধিদের জানানো হয়, চুক্তিপত্র সইতে বাধা হয়ে দাঁড়ানো বিষয় গুলো। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্টের প্রতিনিধিরা।
মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতিতে দুই পক্ষের ম্যারাথন আলোচনা হয়। এতদিন এটাই সম্ভব হচ্ছিল না। মেইলের মাধ্যমে নিজেদের মত জানানো হচ্ছিল। ফলে কার্যত জট খোলার রাস্তা খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে উঠছিল।
শনিবারের ভিডিও কনফারেন্সে সেখান থেকে অন্তত সরে আসা গিয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে অন্য পক্ষের উপস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা গিয়েছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে নিজেদের সুবিধা, অসুবিধা ব্যাখ্যা করেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বক্তব্য শোনার পর বিনিয়োগকারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন। আপাতত তাই লাল হলুদের চুক্তি জটে সাময়িক বিরতির পালা। বল এখন বিনিয়োগকারীদের কোর্টে।
নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ কী অবস্থান নেয়, তার ওপরই নির্ভর করছে ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্টের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ। এফএসডিএল আইএসএল শুরুর দিন ঘোষণা করে দিয়েছে। সেই অবস্থায় চুক্তি জটের নিষ্পত্তি না হলে যে আটের আইএসএলে লাল-হলুদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত, সেটা বলাই বাহুল্য।
১৯ নভেম্বর শুরু হতে চলেছে আটের আইএসএল। ফাইনাল ২০ মার্চ। প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণ করে আটের আইএসএলে অংশ নিতে গেলে লাল হলুদের হাতে সময় যে বেশি নেই, সেটা বলাই চলে। শ্রী সিমেন্ট বনাম ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্র সই সমস্যা কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে নজর রয়েছে এফএসডিএল-র। অপেক্ষায় রয়েছে লাল হলুদ জনতাও।