( ডিপে, উইনালদাম-২)
নর্থ মেসিডোনিয়া - ০
#আমস্টারডাম: প্রথম দুই ম্যাচে ইউক্রেন এবং অস্ট্রিয়াকে হারানোর পর গ্রুপের তিন নম্বর ম্যাচে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে ডাচদের জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। প্রশ্নটা ছিল জয়ের ব্যবধান কত হবে ? গ্রুপ শীর্ষে থেকেই নেদারল্যান্ডস নক আউটে উঠবে এটা বোঝার জন্য ফুটবল পন্ডিত হওয়ার দরকার ছিল না। সোমবার আমস্টারডাম এরিনায় সহজ জয় তুলে নিল নেদারল্যান্ডস। তিন গোলে জিতে শেষ ১৬ তে সবার ওপরে থেকেই পৌঁছে গেল তাঁরা। যে কিংবদন্তি জহান ক্রুইফ টোটাল ফুটবলের প্রবর্তন ঘটিয়েছিলেন, সেই কিংবদন্তি বেঁচে থাকলে খুশি হতেন এই ডাচ দলের খেলা দেখলে।
advertisement
কমপ্লিট ফুটবল অনেকটাই রপ্ত করেছে এই দলটা। এদিন প্রথম এগারোয় দুটি পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ ডি বোর। কিন্তু তাতে কিছু পার্থক্য বোঝা গেল না। প্রথমার্ধে মেসিডোনিয়া চেষ্টা করেছিল। একটি গোল অফ সাইডের কারণে বাতিল হয়, একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। কিন্তু নেদারল্যান্ডসকে দুরন্ত কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এগিয়ে দেন সদ্য বার্সেলোনায় সই করা ডিপে। এরপর প্রথমার্ধেই ডামফ্রাইস সহজ সুযোগ না হারালে ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলতে পারত নেদারল্যান্ডস।
৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়াল নেদারল্যান্ডস। ডিপের বাড়ানো বল গোল করতে ভুল করেননি উইনালড্যাম। ৫৮ মিনিটে আবার গোল করেন পিএসজি তারকা। তিনি দলের অধিনায়কও বটে। ডিপে ৬৫ মিনিট মাঠে ছিলেন। তাঁকে দলে নিয়ে বার্সেলোনা যে ভুল করেনি সেটা প্রমাণ করে দিলেন। প্রচণ্ড পরিশ্রম করলেন। দলের রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের দেখে নিতে পারলেন কোচ।
৩-৪-১-২ ফরমেশনে ডাচদের আটকানো সহজ ছিল না। ডিফেন্সে ডি লিট, ব্লিন্ড, ভ্রিজ বিপক্ষ দলকে সুযোগ দেননি। অবশ্য মেসিডোনিয়াকে দিয়ে বিচার করলে হবে না। এরপর বুদাপেস্টে আরও কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে কমলা ব্রিগেডের জন্য। কিন্তু যেভাবে গত তিনটি ম্যাচে দাপট নিয়ে খেলল নেদারল্যান্ডস তাতে তাঁদের সর্মথকরা ভাল কিছুর আশা করতেই পারেন। অন্তত শেষ চারে নেদারল্যান্ডসকে দেখা যাচ্ছে এখন থেকেই।